দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাসের 2015 সালের প্রশ্নপত্র উত্তর সহ



 **দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাসের 2015 সালের প্রশ্নপত্র উত্তর সহ




হ্যালো স্টুডেন্ট কেমন আছো সবাই আশা করি ভালো আছো ।আজ আমি নিয়ে এসেছি তোমাদের সামনে ইতিহাসের 2015 সালের উচ্চমাধ্যমিক প্রশ্ন পত্র।শুধু প্রশ্ন পত্রই নয় তোমাদের জন্য উত্তর সহ প্রশ্ন পত্র টা রেডী করেছি ।তাই পোস্ট টা নিখুঁত ভাবে পড়বে আর যদি কোনো রকম অসুবিধা হয় তাহলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন ।

যে-কোনো পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর দাও (প্রতিটি খণ্ড থেকে ন্যূনতম দুটি প্রশ্নের উত্তর আবশ্যক) :

**দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাসের 2015 সালের বড়ো প্রশ্নের উত্তর

                              ■ খণ্ড-'ক' -

* (i) মিথ (উপকথা) ও লিজেন্ড (পুরাকাহিনী) বলতে কী বোঝো? অতীত বিষয়ে মানুষের ধারণাকে এরা কীভাবে রুপদান করে? 

উত্তর:- 1. (i) প্রাগৈতিহাসিক যুগের বিভিন্ন কাহিনী বা ঘটনার বিবরণে যে ঐতিহাসিক উপাদান গুলি তুলে ধরা হয় তাকে পৌরাণিক কাহিনী বা মিথ বলে। পৌরাণিক কাহিনী হলো প্রাচীনকাল থেকে মুখে মুখে প্রচলিত ঐতিহাসিক দলিল। তবে স্বাভাবিকভাবে এগুলি বাস্তবে ঘটে ছিল, না ঘটেনি সে সম্বন্ধে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না। মিথ সমাজের, ধর্মের বা নৈসর্গিক ঘটনাবলির বিবরণ বা ব্যাখ্যা ঐতিহাসিক বলেই বিবেচিত হয়। যে কারণে পৌরাণিক কাহিনীতে মানুষের ক্রিয়াকলাপ, বর্তমান সমাজের কোনো আবশ্যিক কার্যকলাপ বা ঘটনা এবং মানুষের দ্বারা সভ্যতা সৃষ্টির ইতিহাস বর্ণিত থাকে না। জে. এফ. বিয়ার লাইন তাঁর গ্রন্থে লিখেছেন পৌরাণিক কাহিনী হলো আমাদের অবচেতন মনের কাহিনী বিশেষ যা সম্ভবত আমাদের জিনে লিপিবদ্ধ থাকে। জনপ্রিয় পৌরাণিক কাহিনীগুলি হলো মানব সভ্যতার উদ্ভবের পূর্বে ঐশ্বরিক জগতে সংঘটিত হওয়া নানা কাল্পনিক ঘটনা। যেমন—বাইবেলের পৌরাণিক কাহিনী, হিন্দু পুরাণ, রোমের পৌরাণিক কাহিনী ইত্যাদি।

কিংবদন্তি বা বীরগাথা অথবা লিজেন্ড হলো অতীত মানুষের কৃতকার্যের বিবরণী। দীর্ঘদিন ধরে অতীতের কোনো স্থানের ঘটনা লোকমুখে প্রচারিত হলে এবং সেই অঞ্চলের মানুষ বংশপরস্পরায় মনে রেখে বিশ্বাস করে তা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে প্রচার করলে তাকে কিংবদন্তী বলে.

অতীত বিষয় মানুষের ধারণা তৈরি করতে মিথ ও লিজেন্ডদের ভূমিকা :

 অতীতকে জানার জন্য মিথ বা উপকথার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। মিথ বা পৌরাণিক কাহিনী গুলি আপাতভাবে কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন বলে মনে হলেও পাঠকমনে তা ঐশ্বরিক বিশ্বাসের জন্ম দেয়। ধর্মীয় রীতিনীতি নিয়ে এক ধরনের জীবনযাপন প্রণালীতে প্রভাব ফেলে মিথ। মিথের তুলনামূলক আলোচনা থেকে বিভিন্ন ধর্ম, সংস্কৃতি, সমাজের বৈশিষ্ট্য ও অগ্রগতি কে চিহ্নিত করা যায়। শুধু তাই নয় পৌরাণিক কাহিনী গুলি পর্যালোচনার মাধ্যমে শিক্ষার পরিসর বৃদ্ধি করা যায়। এ বিষয়ে মানুষের ধারণা কে রুপদানের ক্ষেত্রে ভূমিকা সম্পর্কে বলা যায়—(১) মিথ জীবজগতের সামনে মানুষের শ্রদ্ধা ও এর দ্বারা এর জীবনী শক্তির আধার হিসেবে প্রকাশিত হয় ও সমর্থিত হয়। (২) মিথ বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টি রহস্য সম্পর্কে যে ধারণা তুলে ধরে সেই রহসের প্রতি ভয়বশতঃ, রহস্যের উপস্থিতি আছে বলে মনে করা হয়। (৩) সামাজিক ন্যায় নীতি গুলি মিথের দ্বারা গড়ে ওঠে এবং ব্যক্তি মানুষের গোষ্ঠীবদ্ধ হতে মিথের পরোক্ষ ভূমিকা থাকে। (৪) ব্যক্তির মনোগত গঠন, আধ্যাত্মিকতা এবং বোধগম্যতায় মিথ এর ভূমিকা থাকে। আধুনিক সমাজ মিথের প্রভাবমুক্ত নয়। ধর্মীয় অভিজ্ঞতা ও মানুষের নৈতিক মানদন্ড স্থির করার ক্ষেত্রেও এর উদাহরণ দেওয়া হয়।

প্রচলিত সাধারণ রীতিতে উপস্থাপিত কিংবদন্তীর মাধ্যমে লোক বিশ্বাস ও অভিজ্ঞতা গুলির প্রকাশ ঘটে। এগুলি বংশ পরস্পরায় চলে আসা অতীত অভিজ্ঞতার কাহিনী। তাই এগুলিকে ইতিহাসসম্মত বিবরণ বলে অনেকে মনে করেন। কিন্তু লিজেন্ড এর বিষয়বস্তু যা বাস্তবমুখী ভাবে বর্ণিত তা প্রকৃত বাস্তব নয়। এর মধ্যে বহু গুজব মিশে থাকে এবং এইগুজবই কিংবদন্তি হিসেবে চলে তবে, কিংবদন্তির গল্প গুলি সত্য হিসেবে মূল্য থাক বা না থাক এটা সত্য, যে গল্পগুলির কথা বলা হয়েছে এবং চলে আসছে এগুলি সংস্কৃতির ধারারসঙ্গে যুক্ত।

কিংবদন্তি চরিত্র বা ঘটনাগুলির অলৌকিক কাহিনী পাঠ করে পাঠকরা যেমন আনন্দ পেয়ে থাকে তেমনই কিংবদন্তি গুলো আজও জনপ্রিয় হয়ে রয়েছে রামচন্দ্র, শ্রী কৃষ্ণ, গোপাল ভাঁড়, হারকিউলিস ও প্রমিথিউস এর কাহিনী ইত্যাদিতে। এগুলো অনেক সময় কল্পনাপ্রবণ হলেও পাঠকের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে বলে কিংবদন্তি পাঠ করে পাঠক আনন্দ লাভ করে।

(ii) উপনিবেশবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ বিষয়ে হবসন-লেনিনের তত্ত্ব আলোচনা করো।

উত্তর:-1. (ii) ইউরোপে শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে শিল্পোন্নত দেশগুলি—ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, জার্মানি প্রভৃতি উদ্বৃত্ত শিল্প পণ্য বাজারজাত করার জন্য অন্যত্র উপনিবেশ ও সাম্রাজ্যবাদের নীতি অনুসরণ করে। শিল্পজাত পণ্য বাজারে বিপনন এবং সস্তা দরে উপনিবেশ থেকে বা দখলীকৃত সাম্রাজ্য থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ ছিল এই উপনিবেশবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ এর উদ্দেশ্য। মূলত অর্থনৈতিক উদ্দেশ্যে শিল্পোন্নত দেশগুলির দ্বারা অনুসৃত ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষে সূচিত এই উপনিবেশবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ নয়া উপনিবেশবাদ বা সাম্রাজ্যবাদ নামে পরিচিত। অনেকে মনে করেন এই নয়া সাম্রাজ্যবাদ প্রসারের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক বিষয় সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। জে.এ.হবসন এবং ভি.আই. লেনিন সাম্রাজ্যবাদ ও উপনিবেশবাদ সম্পর্কে তাদের এই অর্থনৈতিক ব্যাখ্যা হবসন লেনিন থিসিস নামে পরিচিত।


হবসনের ব্যাখ্যা : 1902 খ্রিস্টাব্দে হবসন তার প্রকাশিত “Imperialism: A study” গ্রন্থে বলেছেন যে নয়া সাম্রাজ্যবাদ এর পিছনে কোনো মহৎ উচ্চতর লক্ষ্য বা আদর্শ ছিল না। সাম্রাজ্যবাদের মূল হলো উদ্বৃত্ত পূঁজি বিনিয়োগের ক্ষেত্র অনুসন্ধান ছিল পশ্চিম ইউরোপে শিল্পোন্নত দেশগুলোতে বিকশিত অর্থনৈতিক অগ্রগতির স্বাভাবিক পরিণতি


হবসনের মতে, নয়া সাম্রাজ্যবাদের পিছনে প্রধান কারণ ছিল গণতান্ত্রিক পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থায় পুঁজিপতিদের হাতে সঞ্চিত হওয়া প্রচুর মূলধন। এইমূলধনের পাহাড় সৃষ্টির প্রধান কারণ হলো সমাজে ধন বৈষম্য। এই পুঁজি নতুন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করে তারা আরও বেশি মুনাফা অর্জন করতে থা


হবসনের মতে বাড়তি মূলধনের চাপই হলো সাম্রাজ্যবাদ উপনিবেশ দখল এর মূল কারণ। এই মূলধন উপনিবেশ গুলিতে বিনিয়োগ করে আরো মুনাফা বৃদ্ধির জন্য মুলধনীরা তাদের নিজেদের দেশের সরকারকে উপনিবেশ দখল এ বাধ্য করে


হবসন মনে করেন যে উপনিবেশিক সমাজে পুঁজিপতি শ্রেণীর মূল লক্ষ্য ছিল বেশি বেশি মুনাফা ও সম্পদ অর্জন। এরই লোভে তারা।



(iii) ক্যান্টন বাণিজ্যের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি কী ছিল? এই বাণিজ্যের অবসান কেন হয়? 


উত্তর:-
1. (iii) চিনের দক্ষিণে ক্যান্টন বন্দর ছিল তাং যুগের বৈদেশিক বাণিজ্যের সমৃদ্ধ বন্দর। ইউরোপীয়রা সাদারেশম, সবুজ চা, খনিজ দ্রব্য রপ্তানির লোভে চিনের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা চালায়। কিন্তু বিদেশি বাণিজ্যের প্রসার চিনের বাণিজ্যিক স্বার্থের বিরোধী হবেভেবে চিনা আদালত ১৭৫৯ খ্রিস্টাব্দে এক নির্দেশনামা একমাত্র ক্যান্টন বন্দরকে বিদেশি বাণিজ্যের জন্য উন্মুক্ত বলে ঘোষণা করে। এইভাবে ক্যান্টন বন্দর কে কন্দ্র করে চিনে বিদেশিদের এক বন্দর কেন্দ্রিক যে বাণিজ্য প্রথার সূচনা হয়, তা-ই ক্যান্টন বাণিজ্য নামে পরিচিত। এই বাণিজ্য ব্যবস্থা ১৮৪২ খ্রিস্টাব্দে নানকিং এর সন্ধি স্বাক্ষরিত হওয়ার আগে পর্যন্ত জারি ছিল।

ক্যান্টন বাণিজ্যের বৈশিষ্ট্য : ক্যান্টন বাণিজ্য ছিল কেবলমাত্র ক্যান্টন বন্দর কেন্দ্রিক। চিনের সঙ্গে ব্যবসা বাণিজ্যে ইচ্ছুক বিদেশিরা একমাত্র এই বন্দরের মাধ্যমেই আমদানি রপ্তানি করতো।

ক্যান্টন বাণিজ্যে চিনা সরকারের আরোপিত বিভিন্ন বিধিনিষেধ বা নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্যে করতে হতো। বিদেশি বণিকদের কোনো বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হতো না। যেহেতু এই বাণিজ্য ছিল ব্যক্তিগত মালিকানা ভিত্তিক তাই চিনা রাষ্ট্র রাজদরবারের সঙ্গে কোনো চুক্তি হয়নি। ক্যান্টন বাণিজ্যে ইউরোপীয় বণিকদের প্রত্যক্ষভাবে । মর্যাদার ভিত্তিতে চিনের সঙ্গে বাণিজ্য করার অধিকার ছিল না। এমনকি উপঢৌকন দিলেও তারা এই অধিকার পেত না। প্রকৃতপক্ষে ক্যান্টন বাণিজ্য ছিল নজরানা প্রথা বহির্ভূত।

ক্যান্টন বন্দরে বিদেশের বাণিজ্য চিনের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হত। চিনা সরকার অনুমোদিত ১৩ টি বণিক সংস্থা নিয়ে গড়ে ওঠা কো-হং সংগ্রহ বণিক সংস্থার মাধ্যমে বিদেশিদের ক্যান্টন বাণিজ্য করতে হতো। যেহেতু বিদেশিরা চিনা বাজারে অবাধে প্রবেশ করতে পারত না, তাই তাদের কো-হংদের মাধ্যমে বিভিন্ন দ্রব্য বিনিময় ও বিক্রি করতে হতো। বৈদেশিক বাণিজ্যের একচেটিয়া অধিকার ছিল এই কো-হংবণিক সংস্থার। তারাই বৈদেশিক বাণিজ্যের পরিমাণ ও মূল্য নির্ধারণ করত। তারা বাণিজ্য শুল্ক আদায় করে সরকারকে তা দিত এবং বিদেশিদের কাছ থেকে প্রচুর অর্থ দালালি হিসেবে নিত।

ক্যান্টন বন্দরে বাণিজ্য রত ইউরোপীয়দের শহরের মূল ফটকের বাইরে একটি নির্দিষ্ট স্থানে বসবাস ও বাণিজ্য চালাতে হতো। কখনোই তারা মূল শহরে প্রবেশ করতে পারত না, বসবাস করার জন্য তাদের কোনো বণিক সংস্থাকে বাৎসরিক ৬০০ তায়েল ভাড়া দিতে হতো। বিদেশিদের বসবাসের এলাকাকে বলতো আই কোয়ান।

ক্যান্টন বাণিজ্য অংশগ্রহণকারী বিদেশি বণিকদের চিনা ভাষা ও আদব কায়দা শিক্ষা নিষিদ্ধ ছিল। ক্যান্টনে তারা চিনা ফৌজদারি ও বাণিজ্যিক আইন মেনে চলতে বাধ্য ছিল। বিদেশি বাণিজ্যকুঠীতে মহিলা ও আগ্নেয়াস্ত্রের প্রবেশ, দাসি নিয়োগ প্রভৃতি নিষিদ্ধ ছিল। বাণিজ্যের মরশুম শেষ হলে বিদেশি বণিকদের ক্যান্টন ত্যাগ করতে হতো।


অথবা, পলাশি ও বক্সারের যুদ্ধের ফলাফলের তুলনামূলক আলোচনা করো।

(iii) অথবা, ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৩ জুন পলাশীর আমবাগানে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ্দৌলার সাথে ক্লাইভের নেতৃত্বে ইংরেজদের যে লড়াই হয়েছিল তা ভারত ইতিহাসে পলাশীর যুদ্ধ নামে পরিচিত। এই যুদ্ধে সিরাজের পরাজয়ের ফলে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়। অন্যদিকে ১৭৬৪ খ্রিস্টাব্দের ২২ অক্টোবর মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম, অযোধ্যার নবাব সুজাউদ্দৌলা এবং বাংলার নবাব মীর কাশেমের মিলিত বাহিনীর সঙ্গে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বক্সার প্রান্তরে যে যুদ্ধ হয়েছিল তা বক্সারের যুদ্ধ নামে পরিচিত। ঐতিহাসিক ভিন্সেন্ট স্মিথ এর মতে পলাশীর যুদ্ধ ছিল কয়েকটি কামানের গোলারলড়াই, কিন্তু বক্সারের যুদ্ধ ছিল এক চূড়ান্ত যুদ্ধ।

(১) পলাশীর যুদ্ধের হতাহতের সংখ্যা ও ব্যাপকতার দিক থেকে এটি ছিল একটি খণ্ডযুদ্ধ মাত্র। এতে নবাবের পক্ষে ৫০০ জন এবং ইংরেজদের পক্ষে মাত্র ২২ জন সেনার মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু বক্সারের যুদ্ধে হতাহতের সংখ্যা ছিল অনেক বেশি।

(২) পলাশীর যুদ্ধে পরাজিত হয়ে ভারতের সর্বাধিক সমৃদ্ধ অঞ্চল সর্বপ্রথম বিদেশি শক্তির অধীনে চলে যায়। ইংরেজরা পরিণত হয় “king maker” এ। ইংরেজরা নিজেদের হাতের পুতুল হিসেবে মীরজাফরকে সিংহাসনে বসিয়ে তারাই সিংহাসনের পশ্চাতে শক্তিতে পরিণত হয়। আর পরবর্তী নবাব মীরকাশিম তাদের হাতের পুতুলে পরিণত হতে না চাওয়ায় তার সঙ্গে সংঘাত বাধে। বক্সারের যুদ্ধে জয়লাভ, পলাশীতে ব্রিটিশদের যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল তাকেই বাস্তবায়িত করেন।

(৩) পলাশীর যুদ্ধে জয়লাভ করে ব্রিটিশ কোম্পানি ভারতে নিজেদের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিল। এই যুদ্ধের পর থেকে বাংলার সম্পদ ব্যবহার করে ইংরেজরা ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্রিটিশ শাসনের প্রসার ঘটায়। পলাশীর যুদ্ধে শুধুমাত্র বাংলার নবাব পরাজিত।

যুদ্ধে বাংলার নবাব, অযোধ্যার নবাব, সর্বোপরি মুঘল সম্রাট একসঙ্গে পরাজিত হন। এই পরাজয় ভারতের শাসকদেরও অযোগ্যতা প্রমাণ করে দেয়।

(৪) পলাশীর যুদ্ধের পর বাংলার নতুন নবাব কোম্পানির কর্মচারীদের প্রচুর অর্থ পুরস্কার দিতে বাধ্য হয়। এরপর থেকে কোম্পানি ছলে বলে কৌশলে বাংলা থেকে প্রচুর অর্থ সংগ্রহ করে তা নিজেদের দেশে পাঠিয়ে দেয়। এর ফলে বাংলার অর্থনৈতিক কাঠামো বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে যা “পলাশির লুন্ঠন” নামে পরিচিত। অন্যদিকে বক্সারের যুদ্ধের ফলে অযোধ্যার নবাবের ক্ষমতা কোম্পানি চূড়ান্তভাবে হ্রাস করে। অযোধ্যার নবাব কোম্পানির নিয়ন্ত্রণাধীনে চলে যায়, বাংলার নবাব কোম্পানির বৃত্তিভোগী শ্রেণীতে পরিণত হয়। বক্সারের যুদ্ধে জয়লাভ করে ইংরেজরা বার্ষিক ২৬ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভ করে। এই চুক্তি অনুসারে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব পায়।

(৫) পলাশীর যুদ্ধের পর বাংলা থেকে ফরাসিরা বিতাড়িত হয়, তাদের মনোবল ভেঙে যায়। বাংলার প্রচুর অর্থ কাজে লাগিয়ে ইংরেজরা দাক্ষিণাত্যে ফরাসিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হয় অন্যদিকে বক্সারের যুদ্ধের পর বাংলার কুটির শিল্প ও বাংলার ব্যবসা-বাণিজ্যের ধ্বংস সাধন করে ব্রিটিশরা একচেটিয়াভাবে শিল্প-বাণিজ্যের উপর নিষিদ্ধ প্রতিষ্ঠা করে।

(৬) পলাশীর যুদ্ধের পর ইংরেজরা এ দেশের সমাজ ও সভ্যতায় নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার চেষ্টা করায় পাশ্চাত্য শিক্ষা ও ভাবধারার অনুপ্রবেশ ঘটে। নবজাগরণের পটভূমিকায় মধ্যযুগের অবসান ঘটে ও আধুনিক যুগের সূচনা হয়। তবে বক্সারের যুদ্ধ ছিল ভারত ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ঐতিহাসিক বিপানচন্দ্র এর মতে বক্সারের যুদ্ধ ভারতের ইতিহাসে যুগান্তকারী তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা ছিল পলাশীর যুদ্ধের পর ব্রিটিশ রাজত্বের যে ভিত্তি প্রস্তর গড়ে উঠেছিল বক্সারের যুদ্ধে তা সুদৃঢ় হয়েছিল।


(iv) ভারতের সমাজসংস্কারক হিসেবে রামমোহনের অবদান সম্পর্কে আলোচনা করো।

দাঁড়িয়েছিলেন, তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন রাজা রামমোহন রায়। জাতির এক চরম সংকটের মুহূর্তে রামমোহনের আবির্ভাব ঘটেছিল। একদিকে অন্ধ গোঁড়া রক্ষণশীলতা ও অন্যদিকে উগ্র আধুনিকতার মধ্যে ভারতবাসীরা দিশা খুঁজে পাচ্ছিল না। এই সময়ে রামমোহনের আবির্ভাব। ভারতবাসীর ধর্মচিন্তা সমাজব্যবস্থাকে সংস্কারমুক্ত করে তাতে প্রাণ শক্তি সঞ্চার ও পাশ্চাত্য জ্ঞান-বিজ্ঞান দ্বারা জাতিকে সমৃদ্ধশালি করে মুক্তির পথ দেখান তিনি। আধুনিক ভারতের নির্মাতা হিসেবে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁকে বলেছিলেন “ভারত পথিক” এবং অধ্যাপক দিলীপ কুমার বিশ্বাসের মতে তিনি “বিশ্ব পথিক”। রাজা রামমোহন রায় ছিলেন ভারতীয় নবজাগরণের অগ্রদূত। তিনি প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সংস্কৃতির সমন্বয়ে নতুন ভারত গঠনের আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন। তাই তিনি স্বধর্মে থেকে ভারতীয় সমাজ ব্যবস্থায় বেশ কিছু সংস্কার সাধন করেছিলেন।


ধর্মসংস্কার : রামমোহন এর চিন্তার স্বচ্ছতা, দৃষ্টিভঙ্গির উদারতা ও যুক্তিবাদী মননশীলতা নিয়ে হিন্দু সমাজের প্রচলিত আচার-অনুষ্ঠান, পৌত্তলিকতা, কুসংস্কার, পুরোহিত তন্ত্র, লোকাচার তাকে ব্যাথিত করেছিল। তাই তিনি প্রচলিত হিন্দু ধর্মের বেশকিছু সংস্কারে উদ্যোগী হন। তিনি একদিকে যেমন বৈদান্তিক হিন্দু ধর্মের প্রতিষ্ঠা করেন, তেমনি খ্রিস্টান মিশনারীদের আক্রমণের হাত থেকে হিন্দু ধর্মকে রক্ষা করেন। তিনিই পুরাণ, উপনিষদ প্রভৃতি গ্রন্থের ব্যাখ্যা করে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছিলেন যে পৌত্তলিকতা, পুরোহিত তন্ত্র, আচার অনুষ্ঠান সর্বস্বতা হিন্দু ধর্মের মূল কথা নয়, একেশ্বরবাদই সকল ধর্মের মূল কথা এবং হিন্দু ধর্মশাস্ত্রে উল্লেখিত নিরাকার ব্রহ্মের উপাসনা শ্রেষ্ঠ ধর্ম। ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি বহু দেব বাদের বিরুদ্ধে এবং একেশ্বরবাদের সমর্থনে ফারসি ভাষায় লেখেন তুহফৎ উলমুওয়াহিদিন। তিনি বাংলা ভাষায় লেখেন বেদান্তের ভাষ্য। বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য তিনি তার অনুগামীদের নিয়ে গঠন করেন ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে আত্মীয় সভা। এতে অংশ নিতেন দ্বারকানাথ ঠাকুর, প্রসন্নকুমার ঠাকুর, রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ প্রমুখ ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ব্রাহ্ম সভা, সেটি ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে ব্রাহ্মসমাজে রূপান্তরিত হয়।


সমাজ সংস্কার : হিন্দু সমাজের প্রচলিত বিভিন্ন কুপ্রথাগুলি দূর করে সামাজিক সংস্কারের লক্ষ্যে তিনি বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নিয়েছিলেন। হিন্দু সমাজে প্রচলিত সতীদাহ প্রথা, বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, কন্যাপণ, কৌলিন্য প্রথা, জাতিভেদ প্রথা, গঙ্গাসাগরে সন্তান বিসর্জন প্রথার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানান। ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দে সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে জনমত গঠন করেন। সম্বাদ কৌমুদী পত্রিকা এবং বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় বিভিন্ন প্রশস্তিকার মাধ্যমে এই প্রথার বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেন। বহু ভারতীয় মানুষের স্বাক্ষর জোগাড় করে ব্রিটিশ মন্ত্রিসভায় পাঠান। জরুরী ভিত্তিতে বাংলার গভর্নর লর্ড বেন্টিঙ্ক ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দে ১৭ নম্বর রেগুলেশান জারি করে সতীদাহ প্রথা কে বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে ঘোষণা করেন। নারীকে মর্মার সহকারে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রেও রামমোহন নিরলস ছিলেন। সম্পত্তির


                             ■ খণ্ড-‘খ’ -

(v) মন্টেগু-চেমসফোর্ড সংস্কার আইনের (১৯১৯) সমালোচনামূলক আলোচনা করো। 

 (vi) হো-চি-মিনের নেতৃত্বে ভিয়েতনামের মুক্তিযুদ্ধের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।


* (vii) সুয়েজ সংকট কেন দেখা দিয়েছিল?


অথবা, সুয়েজ সংকটের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো। এই সংকটে ভারতের ভূমিকা কী ছিল?

 (viii) স্বাধীন বাংলাদেশের উত্থান ও শেখ মুজিবর রহমানের ভূমিকা আলোচনা করো।




*দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাসের 2015 সালের MCQ প্রশ্নের উত্তর

1. প্রতিটি প্রশ্নের বিকল্প উত্তরগুলির মধ্যে থেকে সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :

(i) ঢাকায় সার্ক (SAARC)-এর প্রথম শীর্ষসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় –

(b) ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে

(ii) 1990-এর দশকের অর্থনৈতিক উদারীকরণ নীতি প্রবর্তিত হয় কোন্ প্রধানমন্ত্রীর সময় ?

(b) পি.ভি. নরসিমা রাও

(iii) ওলন্দাজদের হাত থেকে ইন্দোনেশিয়া স্বাধীনতা লাভ করে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সদস্যপদ লাভ করে

(b)১৯৫০

(iv) বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন—

(d) বিকল্পগুলি সঠিক নয়

(v) আরব লিগে যোগদানকারী দেশ হলো

(C) লেবানন 

vi) উত্তর আটলান্টিক সামরিক জোট (NATO) কবে গঠিত হয়?

(b) ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে

(vii) ইয়াল্টা সম্মেলন আহূত হয়—

(c) ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে

(viii) সুয়েজ খাল জাতীয়করণ করেন—

(b) নাসের

(x) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন রাষ্ট্রপতি ছিলেন

(d) ট্রুম্যান

xi) ত্রিপুরী কংগ্রেসের অধিবেশনে সুভাষচন্দ্র বসুর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন

(c) পট্টভি সীতা রামায়ইয়া

xii) নৌ বিদ্রোহ প্রথম শুরু হয়েছিল

(c) তলোয়ার জাহাজ

xiii) 1909 খ্রিস্টাব্দে ভারতের ভাইসরয় কে ছিলেন

d) লর্ড মিন্টো


xiv) গান্ধী প্রবর্তিত হরিজন এর অর্থ

c) ঈশ্বরের সন্তান


xv) তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা প্রকাশ করেন

b) দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর


(xvi) সিং-চুং-হুই-এর প্রবর্তক ছিলেন

(a) সান-ইয়াৎ সেন


(xvii) চিনে ইউরোপের বাণিজ্যিক সম্পর্কের সূত্রপাত হয়

(c) ম্যাকাও


(xviii) বীরসালিঙ্গম দক্ষিণের নামে পরিচিত।

(D) বিদ্যাসাগর নামে পরিচিত


(xix) কে বাংলায় দ্বৈত শাসনব্যবস্থার অবসান ঘটান?

(C) ওয়ারেন হেস্টিংস 


(xx) লর্ড কর্নওয়ালিশ প্রবর্তিত ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থা হলে

(c) (A) (B) ঠিক এবং (C) (D) ভুল


( xxi ) আফ্রিকাতে প্রথম উপনিবেশ স্থাপন করেছিল

(d) ওলন্দাজরা


(xxii) সাম্রাজ্যবাদ: Ca এর সর্বোচ্চ পর্যায়

(C) লেনিন


(xxiii)ভারতের ইতিহাসের জাতীয়তাবাদী ব্যাখ্যাকার হয়

(a) রমেশচন্দ্র মজুমদার


( xxiv ) 'Early History of India' গ্রন্থের রচয়িতা—

(d) ভিন্সেন্ট স্মিথ


*দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাসের 2015 সালের SAQ প্রশ্নের উত্তর

(i) দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম অ-শ্বেতাঙ্গ রাষ্ট্রপ্রধানের নাম কী?

উত্তর:-নেলসন ম্যান্ডেলা

অথবা, ভারত সরকারের বরাদ্দ অর্থকে যথাযথভাবে ব্যয় করার জন্য কীভাবে ভাগ করা হয়?

উত্তর:-পরিকল্পিত খাত ও অপরিকল্পিত খাত

(ii) দিয়েন-বিয়েন-ফু-তে কী ঘটেছিল?

উত্তর:-1954 খ্রিস্টাব্দে মার্চ মাসে ফরাসি সেনাপতি এডমিনদের সম্পূর্ণ ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে ভিয়েতনামের দিন বিয়েন ফু তে যে অস্ত্র ভান্ডার ও দুর্ভেদ্য ঘাঁটি নির্মাণ করেন তার সেনাপতি জেনারেল এর নেতৃত্বে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় এবং আত্মসমর্পণ করে।

অথবা, বেন বেল্লা কে ছিলেন?

উত্তর:-বেন বেল্লা ছিলেন আলজেরিয়ান মুক্তি সংগ্রামের নায়ক ও স্বাধীন আলজেরিয়ার প্রথম রাষ্ট্রপতি।

(iii) ফিদেল কাস্ত্রো কে ছিলেন? 

উত্তর:-কিউবার বিখ্যাত জাতীয়তাবাদী নেতা ছিলেন ফিদেল কাস্ত্রো।

অথবা, কিউবার ক্ষেপনাস্ত্র সংকট

উত্তর:-

(iv) ট্রুম্যান নীতি কী ছিল?

উত্তর:-1947 খ্রিস্টাব্দে 15 মার্চ আমেরিকার রাষ্ট্রপতি হ্যারি ট্রুম্যান ইউরোপের উপরাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপতি শাসনের বিরুদ্ধে বিশ্বের যে কোন দেশকে সামরিক ও আর্থিক সাহায্য প্রদানের যে প্রতিশ্রুতি দেন তা ট্রুম্যান নীতি নামে পরিচিত

(v) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?

উত্তর:-দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন হিদেকি তোজো

অথবা, উত্তর ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট বাহিনী কী নামে পরিচিত ছিল?

উত্তর:-উত্তর ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট বাহিনী কি নামে পরিচিত

(vi) ক্যাবিনেট মিশন কেন ভারতে আসে?

উত্তর:-ভারতের স্বাধীনতা সংক্রান্তঃ সমস্যা আলাপ-আলোচনার জন্য ব্রিটিশ মন্ত্রিসভার সদস্য পেথিক লরেন্স নৌবাহিনী প্রধান আলেকজান্ডার স্ত্রীকে নিয়ে গঠিত উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ক্যাবিনেট মন্ত্রী মিশন 1946 খ্রিস্টাব্দে 24 মার্চ ভারতে আসে।

(vii) ভারতীয়রা সাইমন কমিশন বর্জন করেছিল কেন?

উত্তর:-ভারতবর্ষের শাসনতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক সংস্কারের জন্য গঠিত সাইমন কমিশনের ভারতীয় সদস্য না থাকায় এবং ভারতবাসী নিজেদের জন্য কতটা শাসন সংস্কার প্রয়োজন তা নির্ধারণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়ায় সাইমন কমিশন বর্জন করেছিল।

অথবা, মিরাট ষড়যন্ত্র মামলায় দুজন বিদেশি অভিযুক্তের নাম লেখো। 

উত্তর:-মিরাট ষড়যন্ত্র মামলার অভিযুক্ত দুজন বিদেশি হলেন ফ্লিপকার্ট এবং সানসিল্ক ব্রাডলি

(viii) রাওলাট আইনের পিছনে কী উদ্দেশ্য ছিল?

উত্তর:-1919 খ্রিস্টাব্দে মার্চ মাসের সিডনি রাওলা কর্তৃক প্রবর্তিত এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে ভারতীয় গণ-আন্দোলনের গুলি স্তব্ধ করা

(ix) মানুষ গড়ার আদর্শে কে বিশ্বাসী ছিলেন?

উত্তর:-মানুষ গড়ার আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ ।

(x) দলিত কাদের বলা হয়?

উত্তর:-ভারতীয় সমাজ ব্যবস্থায় পরিশ্রম ও নিপীড়িত শ্রেণীর যেমন নাদার মাহার জামা হরিচন্দ্র প্রভৃতি দের বলা হত।

(xi) আলেকজান্ডার ডাফ কে ছিলেন?

উত্তর:-ব্রিটিশ শাসনকালে আগত খ্রিস্টান মিশনারীদের মধ্যে আলেকজেন্ডার ডাকছিলেন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির ক্ষেত্রে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় 1830 খ্রিস্টাব্দের কলকাতায় জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ ইনস্টিটিউশন প্রতিষ্ঠা করে যা বর্তমানে স্কটিশ চার্চ কলেজ নামে পরিচিত।

অথবা, চুঁইয়ে পড়া নীতি কী?

উত্তর:-টমাস বেবিংটন মেকলে 1835 খ্রিস্টাব্দে তার মিনিটে জানান যে ভারতে উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেণির ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত হলে ক্রমে সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে মেকলে চুইয়ে পড়া নীতি নামে পরিচিত।

(xiii) কোন্ চার্টার আইনে ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একচেটিয়া বাণিজ্যের অধিকার বন্ধ হয়ে যায়?


(xiv) বাণিজ্যিক মূলধন কাকে বলে?

উত্তর:-যে মূলধন উৎপাদনের পরিবর্তে শুধুমাত্র ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিচালনার জন্য ব্যবহার করা যায় তাকে বাণিজ্যিক মূলধন বলে

(xii) নানকিং-এর সন্ধির দুটি শর্ত লেখো।


অথবা, তাইপিং বিদ্রোহ কবে ও কেন হয়?

উত্তর:-লেখাগুলো চিনে 1850 থেকে 64খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তাইপিং বিদ্রোহ হয়েছিল. চীনের মাঞ্চু সরকারের অবসান দুর্নীতি সামরিক ধ্যান-ধারণা ও চীনের বৈদেশিক হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে চীনের জনসাধারণের বিদ্রোহ করে।

(xv) জে এ হবসনের বইটির নাম কী?

উত্তর:-জে এ হবসনের লেখা বইটির নাম হল imperialism; a study

অথবা, হিলফার্ডিং-এর বইটির নাম লেখো। তাদেশ কে আবিস্কার করে

উত্তর:-Finance capital










0 Response to "দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাসের 2015 সালের প্রশ্নপত্র উত্তর সহ"

Post a Comment

Thank you

Iklan Tengah Artikel 1

adx2

Iklan Bawah Artikel