দ্বাদশ শ্রেণীর (উচ্চমাধ্যমিক)ইতিহাসের ছোটো ও বড়ো প্রশ্নের উত্তর সহ সাজেশান


  BLOG CREATER:- ARJUN AND SOHEB


*দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাসের ছোটো ও বড়ো প্রশ্নের উত্তর সহ সাজেশান 



বি:দ্র:- আমাদের ব্লগে প্রবেশ করার জন্য ধন্যবাদ ।আজ আমি আপনাদের সামনে নিয়ে এসেছি দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস এর ছোটো ও বড়ো প্রশ্নের উত্তর সহ সাজেশান যেটা আপনার ২০২২ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় আসার চান্স আছে ।তাই আমি  কমন প্রশ্ন গুলো এই ব্লগে তুলে ধরেছি।তো আমি আসা করছি যে আপনাদের এই সাজেশন থেকে উপকার হবে ।


দ্বাদশ শ্রেণীর (উচ্চমাধ্যমিক) ইতিহাসের ছোটো প্রশ্নের উত্তর সহ সাজেশান:-

(i) ‘এশিয়া এশিয়াবাসীর জন্য’ এই স্লোগান কোন দেশের?

উত্তর:- জাপান

(ii) ওয়ারশ চুক্তি করে এবং কেন স্বাক্ষরিত হয়?

উত্তর:- ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে ১৪ মে

(ii) মর্লে-মিন্টো সংস্কার আইন কবে পাস হয়?

উত্তর:-১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে

 (iv) কবে এবং কাদের মধ্যে লখনউ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়?

উত্তর:-মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ও বালগঙ্গাধর তিলক এই দুজনের মধ্যে চুক্তি হয়। ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে

 (v) চিনে কোন্ বছর আফিম আমদানি বন্ধ হয়?

উত্তর:-১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে

অথবা, উন্মুক্ত দ্বার নীতি কী এবং কে এর প্রবক্তা?

উত্তর:-৯১২৫ খ্রিস্টাব্দে ২৫ December

(vi) সাউকার কাদের বলা হয়?

উত্তর:-দক্ষিণাত্যের সুদখোর মহাজন শ্রেণী নামে পরিচিত

(vii) মার্কেনটাইলবাদ কী?

উত্তর:-মার্কেন্টাইল বাদ বলতে বোঝায় অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণকে রাষ্ট্রের অধীনে নিয়ে আসতে হবে এই প্রকার অর্থনীতিতে রাষ্ট্রীয় স্বার্থ বণিকের সার্থক উৎপাদকের স্বার্থ অভিন্ন হবে.

 (viii) কোন্ ইউরোপীয় দেশ চিনের সঙ্গে প্রথম ব্যাবসায়িক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল?

উত্তর:-পর্তুগাল চীনের সঙ্গে প্রথম ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে তুলে

অথবা, বৈদেশিক বাণিজ্যের জন্য চিনের কোন্ বন্দর দুটি সীমাবদ্ধ ছিল?

উত্তর:-চীনের ক্যান্টন ও ম্যাকাও বন্দর দুট বৈদেশিক বাণিজ্যের জন্য সীমাবদ্ধ ছিল

(ix) দাঁতাত কী?

উত্তর:-দাতা দেখতে ফার্সি শব্দ আক্ষরিক অর্থ হলো উত্তেজনা প্রশমন। দাঁতাত বলতে কী বোঝায় আলাপ আলোচনার পরিবেশ তৈরির মধ্য দিয়ে দীর্ঘকাল ঠান্ডা লড়াই এর শেষ পর্বের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত রাশিয়ার মধ্যে বিরোধের অবসান ঘটানোর জন্য কূটনৈতিক পর্যায়ে রাখা।

(x) বেন বেল্লা কে?

উত্তর: আলজেরিয়ার মুক্ত আন্দোলনের নায়ক ও স্বাধীন আলজেরিয়ার প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন বেন বেল্লা।

অথবা, ‘পাকিস্তান পিপলস পার্টি’ কে গঠন করেন?

উত্তর:-জুলফিকার আলী ভুট্টো

(xi) ক্যাবিনেট মিশনের তিনজন সদস্যের নাম লেখো।

উত্তর:-স্টাফোর্ড ক্রিপস ২ এটি আলেকজান্ডার ৩ পেপসিকো লরেন্স

অথবা, রশিদ আলি দিবস কবে এবং কেন পালিত হয়েছিল?

উত্তর:-1946 সালের 12 ই ফেব্রুয়ারি রশিদ আলী দিবস পালিত হয়। আজাদ হিন্দ বাহিনীর ক্যাপ্টেন কে রশিদ আলী কে ইংরেজি সরকারের 7 বছরের কারাদণ্ড দেয়। এর প্রতিবাদে কলকাতায় 11 ই ফেব্রুয়ারি ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয় এবং এর পরেরদিন রশিদ আলী দিবস হিসেবে পালিত হয়

(xii) হো-চি-মিন কে ছিলেন?

উত্তর:-

অথবা, কোন্ বছর ভিয়েতনাম গণতান্ত্রিক প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষিত হয়?

উত্তর:-

(xiii) কোন্ গভর্নর জেনারেল অ্যাংলিসিস্ট-ওরিয়েন্টালিস্ট বিতর্কের অবসান ঘটান?

উত্তর:-

অথবা, কবে এবং কেন স্যাডলার কমিশন গঠিত হয়?

উত্তর:-

(xiv) কেরালায় কে অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন?

উত্তর:-

 অথবা, চিনে কোন্ বছর মে ফোর্থ আন্দোলন শুরু হয়েছিল?

উত্তর:-

(xv) আলিনগরের সন্ধি কত খ্রিস্টাব্দে, কাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়?

উত্তর:-

 (xvi) কোন্ ভূমিব্যবস্থা জমিদারদের জমির উপর মালিকানা স্বত্ব দিয়েছিল?

উত্তর:-

অথবা, কে, কবে পাঞ্জাবকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত করেন?

উত্তর:-

**দ্বাদশ শ্রেণীর (উচ্চমাধ্যমিক) ইতিহাসের বড়ো প্রশ্নের উত্তর সহ সাজেশান:-


১.১ জাদুঘর কাকে বলে? অতীত পুনর্গঠনে জাদুঘরের ভূমিকা আলোচনা করো?

উত্তর:-

জাদুঘর কাকে বলে :-জাদুঘর হলো এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে অতীত থেকে বর্তমান সব ধরনের বস্তু সংগ্রহের সামর্থ্য অনুযায়ী সংগ্রহ করে রাখা হয়, সেগুলি যত্ন করা হয় এবং জনসাধারণের মধ্যে স্থায়ীভাবে বা অস্থায়ী ভাবে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়। শিক্ষামূলক এবং বিনোদন মূলক উদ্দেশ্যে এ প্রতিষ্ঠানটি গড়ে উঠেছে এমন বিভিন্ন জিনিস সংরক্ষণ ও তাদের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ এবং জনসাধারণের মধ্যে রাখা মিউজিয়াম এর কাজ। আর একেই বলে জাদুঘর 

''আরও জানতে ক্লিক করুন :-সকল ধরণের সরকারি ও বেসরকারি চাকরির খবর ২০২২''

***জাদুঘরের গুরুত্ব:- 

ক) সংগ্রহ করা:-জাদুঘর এর প্রাথমিক উদ্দেশ্য ও কাজ হলো পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন ঐতিহাসিক নির্দেশন খুঁজে বের করে সে গুলোকে যত্নসহকারে মিউজিয়ামে রাখা.

খ) সংরক্ষন:-জাদুঘরে সংরক্ষিত সংগৃহীত নির্দেশক গুলি প্রাচীন মুদ্রা লিপি স্থাপত্য ভাস্কর্য চিত্রকলা বিভিন্ন দুষ্প্রাপ্য বস্তু পূর্বে প্রচলিত ছিল. সংরক্ষিত জিনিসপত্র দীর্ঘস্থায়ী করতে বৈজ্ঞানিক সংরক্ষণ পদ্ধতি ব্যবহার করা 

গ) প্রাক প্রতিকৃতি নির্মান ও প্রদর্শনী: জাদুঘর গুলির কাজ হল বিভিন্ন প্রাচীন ও ঐতিহাসিক নিদর্শন এর মডেল তৈরি করা এবং সেগুলিকে দর্শকদের ও মেটানোর জন্য প্রদর্শনের ব্যবস্থা করো।

ঘ) জনচেতনা বৃদ্ধি:-ঐতিহাসিক নিদর্শন গুলোর মাধ্যমে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা জাদুঘরের অন্যতম উদ্দেশ্য।

***) গবেষণা ও জ্ঞানের প্রচার:-জাদুঘরে সংরক্ষিত সামগ্রী গুলি  অনেক ক্ষেত্রে গবেষণা কাজে লাগে। জাদুঘরে সংরক্ষিত বিভিন্ন ঐতিহাসিক নিদর্শন সম্পর্কে গবেষণা লব্ধ তথ্য সাম্প্রতিককালের আলোচিত কোন ঐতিহাসিক বিষয়ে কোন ঐতিহাসিক পত্রিকা প্রকাশ করে জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রসারে  ঘটানো জাদুঘরে অন্যতম কাজ।


১.২ সাম্রাজ্যবাদ বলতে কী বোঝো? সাম্রাজ্যবাদ উদ্ভবের কারণ গুলি সংক্ষেপে বর্ণনা করো।

**) সাম্রাজ্যবাদ কি:- 

সাম্রাজ্যবাদ হল এমন একটি নীতি যাতে ক্ষমতার রাস্ট্র অপেক্ষাকৃত দুর্বল তাদের ওপর বৈদেশিক রাস্ট্র ও সরকারের অধিপত্য স্থাপন সাম্রাজ্যবাদ নামে পরিচিত।

আবার অন্য দেশের উপর পরোক্ষ স্মৃতির রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ এক ধরনের সাম্রাজ্যবাদ। বর্তমানে যে কোন দেশ কতৃক বিদেশ নীতি হিসেবে অগ্রাসন মূলক বিস্তার নীতি কে সাম্রাজ্যবাদ বলা হয়।


সাম্রাজ্যবাদের উদ্ভবের কারণ গুলি হল:- 

ক) ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা:-জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নিজেদের সম্মান ও প্রতিপত্তি ও ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ও উপনিবেশ প্রতিষ্ঠা করতে অগ্রসর হয়। ইতালি জার্মানি ফ্রান্স বেলজিয়াম সহ বিভিন্ন দেশ শিল্পী উদ্বৃত্ত উৎপাদন না থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র রাজনৈতিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্যই উপনিবেশ স্থাপনের আগ্রহী হয়েছিল।

খ) জাতীয় শ্রেষ্ঠতা:-

সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের পথপ্রদর্শক ছিলেন ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স। তারা মনে করত সাম্রাজ্যবাদের প্রসার জাতীয় শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি। এর মাধ্যমে তারা জাতীয় মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল।

গ) সামরিক ক্ষেত্রে প্রাধান্য:-

ইউরোপে শক্তিশালী দেশ গুলির নিজেদের সামরিক শক্তি জাহির করার জন্য উপনিবেশ স্থাপনের অগ্রসর হয় তারা এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে উপনিবেশ স্থাপনের জন্য সেখানে ও সামরিক ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা করে।

ঘ) অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি:-

উপনিবেশ স্থাপন ও সাম্রাজ্যের অন্যতম কারণ ছিল অর্থনৈতিক। এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ গুলিতে ইউরোপীয় শক্তির উপনিবেশ স্থাপন করেছিল বাণিজ্য সম্প্রসারণ। সেখানকার খনিজ সম্পদ ও কাঁচামাল অর্থ-সম্পদ প্রবৃত্তি আরোহন করতে চেয়েছিল। ধর্মপ্রচারে উদ্দেশ্যে মিশনারীরা উপনিবেশগুলোতে পৌঁছে গিয়েছিল।






১.৩ ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে ভারতের ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও?

উত্তর:-১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলা বিহার উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভের মধ্য দিয়ে ভারতবর্ষে রাজস্ব আদায়ের অধিকার পায়।  ১৭৭২ খ্রিষ্টাব্দে লর্ড ওয়ারেন হেস্টিংস সর্বপ্রথম ভূমি রাজস্ব বন্দোবস্ত প্রচলন করে. হেস্টিংস দ্বৈত শাসনের অবসান ঘটিয়ে নবায়নের কর্মচারী কর্তৃক রাজস্ব আদায়ের পদ্ধতি বাতিল করে কালেক্টর নামে নতুন কর্মচারী নিয়োগ খ্রিস্টাব্দে তিনি ব্রাম্মমান কমিটি গঠন করেন যারা বিভিন্ন জেলায় জেলায় ঘুরে জমি ইজারা তাদের নিলামে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। ভ্রাম্যমাণ কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী জমির নিলামে তুলে সর্বোচ্চ রাজস্ব প্রধান অঙ্গীকারাবদ্ধ ব্যক্তিকে পাঁচ বছরের জন্য যে জমি বন্দোবস্ত দেয়া হতো তা পাঁচশালা বন্দোবস্ত নামে পরিচিত। ওয়ার্ল্ড হিস্ট্রি রাজস্ব সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের জন্য ১৭৭৬ খ্রিস্টাব্দে গঠন করেন আমিনী কমিশন।

হেস্টিংস পাঁচশালা বন্দোবস্ত বিভিন্ন ত্রুটি দূর করে আমিনী কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী জমি এক বছরের জন্য সর্বোচ্চ রাজস্ব প্রদানকারী কে নিলামে দেওয়ার যে বন্দোবস্ত চালু করেন তা একসালা বন্দোবস্ত নামে পরিচিত।

চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত:-

কর্নওয়ালিস চেয়েছিল দীর্ঘদিন ভিত্তিতে জমি বন্দোবস্ত করতে এ বিষয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে গ্রান্ট বিতর্ক সৃষ্টি হয়. তবে ইংল্যান্ডের পরিচালক সভায় অনুমোদন লাভের পর দোষসালবন্দোবস্ত কে ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত পরিণত করেন। বাংলা বিহার ও উড়িষ্যার এ বন্দোবস্ত চালু হয়। স্থির হয় খাজনা প্রদানের মাধ্যমে জমিদাররা বংশানুক্রমিকভাবে দীর্ঘকালীন ভিত্তিতে ভোগ দখল করতে পারবেন।

রায়তওয়ারি বন্দোবস্ত:-

ক্যাপ্টেন আলেকজান্ডার রেড ও টমাস মনরো উদ্যোগে ভারতের দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি বন্দোবস্ত চালু করার প্রস্তাব আঠারোশো কুড়ি খ্রিস্টাব্দে প্রচলিত হয়।

ভূমি রাজস্ব ব্যাবস্থার সুফল:-

কোম্পানিতে প্রবর্তিত ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থা গুলি কোনটি ভারতের পক্ষে যায়নি তা ছিল অত্যাচারমূলক নিপীড়নের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় করা হতো চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে সরকারের প্রাপ্ত রাজস্ব পরিমাণ সুনির্দিষ্ট সরকার নির্বাচনের ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হয়। কম্পানি ভেবেছিল জমির ওপর তাই অধিকার লাভ করে জমিদাররা জমির উন্নতির দিকে নজর দেবে। এই বন্দোবস্তে মাধ্যমে কোম্পানির অনুগত এক সম্প্রদায়ের উদ্ভব ঘটে তাদের সমর্থনে ভারতের বিভিন্ন ব্রিটিশ শাসনের ভিত্তি আরো সুদৃঢ় হয়।

ভূমি রাজস্ব ব্যাবস্থার কুফল:

-প্রকৃতপক্ষে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সুফল অপেক্ষায় ছিল বেশি। জমিদার না অনেক ক্ষেত্রে এমন বস্তু জমির মাপজোক না করায় তারা পতিত জমির উর্বরতা বৃদ্ধি করে নিজেদের আয় বাড়াতে সক্ষম হলেও কমেছে বেদনা বন্দোবস্ত যেহেতু জমিদার কোম্পানির মধ্যে হয়েছিল তাই বন্দোবস্ত কৃষকদের কোন প্রকার হয়নি বরং তাদের অসুবিধা হয়েছিল।



১.৪ চীনে চৌঠা মে আন্দোলনের কারণগুলি বিশ্লেষণ করো ? এই আন্দোলনের প্রভাব আলোচনা করো।

(ক) ইডয়ানসিকাই এর নৃশংসতা:

 চিনে ১৯১১ খ্রিস্টাব্দের প্রজাতান্ত্রিক বিপ্লব ঘটার পর চিনের রাষ্ট্রপতি ডক্টর সান ইয়াত-সেন দেশে গৃহযুদ্ধ এড়াতে ১৯১২ খ্রিস্টাব্দের ১২ ফেব্রুয়ারি সমর নায়ক ইউয়ান সিকাই-এর সমর্থনে রাষ্ট্রপতি পদ ত্যাগ করেন। ইউয়ান ধীরে ধীরে চিনে সামরিক একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন এবং চিনের বিদেশিদের বিভিন্ন সুবিধা দেন। প্রমাণিত হয় যে ইউয়ান বিপ্লবের শত্রু ও সাম্রাজ্যবাদের বন্ধু ফলে তার সরকারের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে উঠতে থাকে। শুধু তাই নয় ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে কুও-মিন-তাঙ দলের বিরুদ্ধে দমনমূলক নীতি নেন এবং কুও-মিন-তাঙ দলকে নিষিদ্ধ করে চিনা জনগণের মনে হতাশা সৃষ্টি হয়।


(খ) জাপানের একুশ দফা দাবি: 

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে জাপান চিনের শানট্যুং প্রদেশের নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে এবং চিনকে নিজেদের উপনিবেশে পরিণত করার জন্য ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দের ১৮ জানুয়ারি জাপান চিনের কাছে একুশ দফা দাবি পেশ করে এবং এই দাবিগুলি পূরণের জন্য সে মাত্র ৪৮ ঘন্টা সময় দেয়। চিনের পক্ষে সার্বভৌমত্ব বিসর্জন কারী এই ধরনের দাবি মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল না। এর বিরোধিতায় চিনে গড়ে ওঠে নাগরিকদের দেশপ্রেমী সমিতি, সাংহাইতে প্রতিষ্ঠিত হয়। জনবিরোধী কমরেডদের জাতীয় সমিতি চিনারা জাপানি পণ্য বয়কটের সিদ্ধান্ত নেয়।


(গ) ইউয়ান এর পদক্ষেপ : 

সম্রাট পদলোভী ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে জাপানের সঙ্গে গোপন চুক্তি করে এবং জাপানের দাবিগুলো মেনে নিতে রাজি হন। ২১ দফা দাবির বিরুদ্ধে জাপানি পণ্য বয়কট আন্দোলন প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। ফলে চিনে তীব্র প্রতিরোধ দেখা দেয়।


(ঘ) বিদেশি পণ্যের বাজার প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় চিনের জাতীয় শিল্পের কিছুটা বিকাশ ঘটলেও যুদ্ধ শেষে জাপান সহ অন্যান্য পুঁজিপতি দেশগুলি আবার চিনের অভ্যন্তরে বাজার দখলের জন্য প্রবেশ করে। চিনের সদ্যোজাত শিল্পগুলি তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ে এবং তাদের অস্তিত্বের সংকট দেখা যায়।


(ঙ) প্রত্যক্ষ কারণ :

 চিনের প্রতি বিদেশিদের অবিচারের অবসান ঘটানোর জন্য চিন প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মিত্র পক্ষে যোগদান করেছিল। তাদের আশা ছিল যে চিন তার রাজ্যগুলি ফেরত পাবে এবং বিদেশিদের সঙ্গে অসম চুক্তিগুলি বাতিল হবে। প্যারিসের শান্তি চুক্তিতে চিন তার দাবি ৷ মিত্রপক্ষ সে বিষয়ে কর্ণপাত করেনি। কারণ তাদের মতে চিনের দাবিগুলি ছিল আলোচনা বহির্ভূত। চিনা প্রতিনিধি সত্যিকার আমি।


১.৫। 1935 খ্রিস্টাব্দে ভারত শাসন আইনের প্রেক্ষাপট ও শর্তাবলী আলোচনা করো। এই আইনের গুরুত্ব কী ছিল?


(ক) জাতীয়তাবাদের প্রসার : 

১৯৩০ এর দশকে ভারতীয়দের মধ্যে জাতীয়তাবাদী মানসিকরে হলেই প্রসাদ ঘটে। ভারতীয় জাতীয়তাবাদের অগ্রগতিতে ব্রিটিশ সরকার চিন্তিত হয়ে পড়ে। তারা চেয়েছিল নতুন কোনে/ সংNSquouse aupada কে দুর্বল করে ভারতে ব্রিটিশ শাসনের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে।


(খ) মন্টেগু-চেমসফোর্ড আইন এর ব্যর্থতা : 

১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে মন্টেগু চেমসফোর্ড আইন ভারতীয়দের আশা আকাঙ্খা পূরণ করতে পারেনি। তাই সমগ্র ভারতবর্ষে আন্দোলন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে, শুরু হয় গান্ধিজির নেতৃত্বে অহিংস অসহযোগ আন্দোলন ও আইন অমান্য আন্দোলন।


(গ) বৈপ্লবিক কর্মতৎপরতা : 

১৯৩০ এর দশকে ভারতের বৈপ্লবিক কার্যকলাপ যথেষ্ট বৃদ্ধি পায়, শুরু হয় কাকোরি ষড়যন্ত্র মামলা। ভগৎ সিং, বটুকেশ্বর দত্ত, রাজগুরু, শুকদেব, সূর্যসেন, বিনয়-বাদল-দীণেশ, প্রমুখ বিভিন্ন বিপ্লবীদের কর্মতৎপরতায় ব্রিটিশ সরকারের নাভিশ্বাস ওঠে।


(ঘ) সাইমন কমিশন-

এর প্রতিক্রিয়া : ভারতীয়দের স্বায়ত্তশাসন লাভের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। অবশেষে ভারতীয়রা স্বায়ত্বশাসন লাভের উপযুক্ত কিনা তা বিচার করতে সাইমন কমিশন ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে ভারতে আসে। ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত রিপোর্টে শাসন পরিচালনা, আইন রচনা প্রভৃতি বিষয়ে ভারতীয়দের যোগ্যতা নিয়ে খুবই অবমাননাকর মন্তব্য করা হয়। এতে ভারতীয়রা ক্ষুব্ধ হয় এবং সাইমন কমিশন বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়।


(ঙ) গোলটেবিল বৈঠক : 

সাইমন কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে ভারতের ব্রিটিশ সরকার ভারতীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তিনটি গোল টেবিল বৈঠক এ ভারতের সাংবিধানিক সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা করে। যদিও তা ভারতবাসীর ক্ষেত্রে আশাব্যঞ্জক ছিল না। এরপর ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে সরকার ভারতের “সাংবিধানিক সংস্কারের জন্য প্রস্তাবসমূহ” শিরোনামে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেন এবং এরই ভিত্তিতে ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভারত শাসন আইন পাস হয়।


শর্তাবলী : 

(১) সর্বভারতীয় স্তরে যুক্তরাষ্ট্র গঠনের কথা বলা হয়। যাতে বিভিন্ন প্রদেশের গভর্নর ও দেশীয় রাজ্যগুলি এর অন্তর্ভুক্ত হয়। যদিও গীয় রাজন্যবর্গের যোগদান ছিল তাদের ইচ্ছাধীন। (২) প্রাদেশিকস্তরে ডায়ার্কির অবসান ঘটানো হয়। কিন্তু কেন্দ্রে ডায়ার্কি প্রবর্তিত হয়। স্থির হয় গভর্নর জেনারেল, তিনজন কাউন্সিলর এর সাহায্য নিয়ে প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, ধর্মীয় ও উপজাতিদের বিষয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন, অন্যান্য বিষয়গুলি গভর্নর জেনারেল মন্ত্রীদের পরামর্শ ও অন্যান্য ধরনের সহায়তা নিয়ে সম্পন্ন করবেন। (৩) কেন্দ্রে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। এগুলিতে দেশীয় রাজ্যগুলির রাজন্যবর্গের মনোনীত প্রতিনিধির উপস্থিতির ব্যবস্থা করা হয়। আইন সভার মেয়াদ ছিল পাঁচ বছর। নিম্নকক্ষের সদস্য সংখ্যা ছিল ৩৭৫ জন এবং উচ্চকক্ষের সদস্য সংখ্যা ছিল ২৬০ জন। (৪) এই আইন অনুযায়ী প্রদেশের দায়িত্বশীল সরকার গঠনের ব্যবস্থা করা হয়। প্রাদেশিক আইনসভার নির্বাচিত সদস্যরা গভর্নরের অনুমোদনক্রমে বহাল


১.৬ জালিওনাবাগ এর হত্যাকান্ড প্রেক্ষাপট কি ছিল? এই ঘটনার গুরুত্ব আলোচনা করো?


1. (vi) ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার প্রবর্তিত দমনমূলক রাওলাট আইন কে কেন্দ্র করে গান্ধিজির নেতৃত্বে ভারতবর্ষের সর্বত্র রাওলাট সত্যাগ্রহ আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলন পাত্তাবে ব্যাপক আকার ধারণ করে। তাই ব্রিটিশ সরকার এই আন্দোলন দমন করতে এখানে অনেক বেশি নিষ্ঠুরতা ও নৃশংসতার পরিচয় দিয়েছিল। এর অন্যতম বহিঃপ্রকাশ ছিল জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকান্ড।


প্রেক্ষাপট : 

(১) পাঞ্চাবের মুখ্য প্রশাসক লেফটেন্যান্ট গভর্নর মাইকেল ও ডায়ার এর অত্যাচারী শাসন পাঞ্জাবকে বারুদের স্তূপে পরিণত করে। একদিকে জোরজবরদস্তি যুদ্ধের জন্য পাঞ্জাব থেকে সেনা ও অর্থ সংগ্রহ, গদর বিদ্রোহকে প্রতিবাদ করার জন্য পাঞ্জাবের মানুষের উপর নির্মম নির্যাতন, যজ্ঞনার প্রতিবাদ, সৈনিকদের সমাবেশ প্রভৃতি ঘটনা ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে পাঞ্চাবীদের প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ করে তোলে।


(২) বৃটিশ সরকার ভারতীয়দের যাবতীয় স্বাধীনতার অধিকার কেড়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে নিষ্ঠুর দমনমূলক রাওলাট আইন প্রবর্তন করলে দেশবাসী ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে। ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে মার্চ মাস থেকে এই বিক্ষোভ পাদ্মাবে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। (৩) পিপলস কমিটি নামে একটি গনসংগঠন লাহোর, অমৃতসর এ রাওলাট আইনের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে। এই পরিস্থিতিতে সরকার ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে এর ১০ এপ্রিল অমৃতসরের স্থানীয় দুই নেতা ড. সইফুদ্দিন কিচলু ও ড. সত্যপালকে হিংসায় মদত দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করলে জনতা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। অন্যদিকে গান্ধিজিকে গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে লাহোরে স্বতঃস্ফূর্ত ধর্মঘট পালিত হয়। মারমুখী জনতা বিভিন্ন সরকারি অফিস, আদালত, টেলিগ্রাফ লাইন, ইউরোপীয় নারী পুরুষের উপর আক্রমণ চালায়। (৪) অমৃতসরে আন্দোলন প্রবল হায়ে উঠলে জেনারেল মাইকেল ও ডায়ার এর নেতৃত্বে সামরিক বাহিনীর হাতে পাড়াব এর শাসনভার তুলে দেওয়া হয়। সামরিক আইন জারি করে ১১ এপ্রিল শহরের জনসভা ও সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। (৫) ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ১৩এপ্রিল জালিয়ানওয়ালাবাগের প্রায় দশ হাজার জনতা সমবেত হয়েছিল ড. সইফুদ্দিন কিচলু ও ড. সত্যপাল এর গ্রেফতারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে। জালিয়ানওয়ালাবাগের উদ্যানে বৈশাখি মেলা উৎসব উপলক্ষে হাজির হওয়া নারী পুরুষ ও শিশুদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন যারা পাঞ্জাবের সামরিক শাসন জারির বিষয়ে বিন্দুমাত্র জানতো না। সমবেত নিরস্ত্র জনতার উপর মাইকেল ও ডায়ার তার সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দেন নির্বিচারে গুলি করার। স্থানটিতে বাইরে বেরোনোর একটি মাত্র সংকীর্ণ গলি পথ ছিল, তাই সকলে ওই পথ দিয়ে বের হতে না পেরে এবং ব্রিটিশ সরকারের ১৬০০ রাউন্ড গুলিতে সরকারি হিসেব অনুযায়ী নিহতের সংখ্যা ছিল মাত্র ৩৭৯ জন এবং আহত ছিল ১২০০ জন, শুধু তাই নয় ঐদিন "সান্ধ্যআইন” জারি করে মারাত্মক আহতদের শুশ্রুষাকরার সুযোগ দেওয়া হয়নি।


গুৰুত্ব:

 জালিয়ানওয়ালাবাগের ভয়ানক ও মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ব্রিটিশ শাসনের নগ্ন রূপ প্রকাশ হয়ে পড়ে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সমগ্র বিশ্ব শিহরিত হয়ে ওঠে। দেশের সর্বত্রই সরকারের নগ্ন স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।


। এই নির্মমতার প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রিটিশ সরকারের দেওয়া নাইট উপাধি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন। গান্ধিজি তার “ইয়ং ইন্ডিয়া” পত্রিকায় লিখেছিলেন এই শয়তান সরকারের সংশোধন সম্ভব নয়, একে ধ্বংস করতেই হবে। ঐতিহাসিক বিপানচন্দ্রের মতে বিদ্যুতের চকিত আলোর মতো এই ঘটনা ব্রিটিশ শাসনের কদর্য ও ভয়াবহ রূপটি দেশের মানুষের সামনে উদ্ঘাটিত করেছিল। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল বলেছিলেন এই ঘটনা অস্বাভাবিক, অতিপাশবিক ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে এরকম ঘটনা কখনো ঘটেনি।


১.৭ জোট নিরপেক্ষ নীতি কি ছিল? জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের উদ্দেশ্য আলোচনা কর?

(১) ভৌগোলিক সুরক্ষা

এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণে এমন এক স্থানে ভারতের অবস্থান যা তাকে মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী দেশে পরিণত করেছে। আফগানিস্তান, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, চিন, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের অভ্যন্তরীণ ও পররাষ্ট্রনীতির পরোক্ষ প্রভাব জোট নিরপেক্ষ নীতি গ্রহণ ভারতকে প্রভাবিত করেছিল।


(২) অতীত ঐতিহ্যের সংরক্ষণ :

 সুপ্রাচীন কাল থেকেই অহিংসা, শান্তি, সহমর্মিতা ও সহনশীলতার আদর্শে ভারত বিশ্বাসী। খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতক থেকেই গৌতম বুদ্ধ, মহাবীর এর শান্তির বাণীকে বিস্তৃত করেছেন। সম্রাট আকবর এবং গান্ধিজির আদর্শ এই ক্ষেত্রকেই প্রসারিত করেছিল। সুতরাং যুদ্ধের আবহাওয়া থেকে নিজেকে মুক্ত রেখে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের কারণেই ভারতবর্ষ জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের দিকে ঝুঁকে ছিল।


(৩) রাজনৈতিক চেতনা : 

রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে ভারত পুঁজিবাদ বা সাম্যবাদ কোনোটাই ঠিক সম্পূর্ণ রূপে গ্রহণ করেনি বরং তার অর্থনীতি ছিল মিশ্র প্রকৃতির। জওহরলাল নেহেরুর সাম্যবাদের প্রতি ব্যক্তিগত আগ্রহ থাকলেও তিনি রাশিয়ার অনুকূলে যাননি। তিনি উপনিবেশিকতাবাদ, সাম্রাজ্যবাদ ও ফ্যাসিবাদের বিরোধী ছিলেন।


(৪) অর্থনৈতিক স্বার্থ : 

স্বাধীনতা লাভের ঠিক পরের মুহূর্ত থেকেই ভারত এক গভীর আর্থসামাজিক সংকটের মুখে পড়ে। দেশভাগ, উদ্বাস্তু সমস্যা, বেকারত্ব, খাদ্যাভাব, কালোবাজারি, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ফলে ভারতের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছিল। এমতাবস্থায় ভারতবর্ষ তার রাষ্ট্রের উন্নয়নের জন্য তথা শিল্প বিকাশের জন্য উভয় জোটের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য পেয়েছিল।


(৫) জাতীয় স্বার্থের সংরক্ষণ

যে-কোনো রাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতি নির্ধারিত হয় সংশ্লিষ্ট দেশটির basic interest এর উপর। তাই জাতীয় স্বার্থ সর্বাগ্রে স্থান পায় এবং সময় অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে। কিন্তু কখনোই তা উপেক্ষিত হতে পারে না। তাই নেহেরু এই জোট নিরপেক্ষতার মধ্য দিয়ে মিশ্র অর্থনীতি ও স্বাধীন বিদেশনীতি প্রয়োগ করে জাতীয় স্বার্থের সংরক্ষণ চেয়েছিলেন।


(৬) আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি : 

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ঠান্ডা লড়াই এর দ্বি মেরুকরণে অংশ না নিয়ে ভারত যুদ্ধের দায়ভার এড়াতে পেরেছিল এবং বিশেষ বিশেষ আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে নির্ণায়ক এর ভূমিকা নিয়েছিল।


(৭) তৃতীয় শক্তি জোটের নেতৃত্ব : 

যে সমস্ত দেশ ঠান্ডা লড়াই এর বাইরে থাকতে চাইছিল, আয়তন ও জনসংখ্যার দিক থেকে ভারতের চেয়ে ছিল নগণ্য। সুতরাং ভারতবর্ষকে এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে এগিয়ে আসতে হয়েছিল।

১.৮ ঠান্ডা লড়াই বলতে কী বোঝো? ঠান্ডা লড়াই এর তাত্ত্বিক ভিত্তি ব্যাখ্যা করো?

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর পর্বে মহাজোটের অবসান ঘটে, তৈরি হয় নতুন সমীকরণ, গড়ে ওঠে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমে শক্তিজোট এবং সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র জোট। Bipolar politics এ রাষ্ট্র জোট পরস্পরিক সন্দেহ রেষারেষিতে




১.৯ সার্ক কিভাবে গঠিত হয়েছিল? সার্ক এর উদ্দেশ্য গুলি কি ছিল?


দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর কালে দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসে অন্যতম ঐতিহাসিক ঘটনা হল 1980 দশকের সার্কের প্রতিষ্ঠা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয় এবং উপনিবেশীকরন এর সূচনা থেকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে আন্দোলন চলছে সার্কের প্রতিষ্ঠা সেখানে একটি রাষ্ট্র হিসেবে উজ্জ্বল হয়ে আছে। 1967 খ্রিস্টাব্দে আগস্ট অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথ।
তিনি চেয়েছিলেন দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ গুলির মধ্যে অর্থনীতি, প্রযুক্তি, বিজ্ঞান, শিক্ষা-সংস্কৃতি প্রভৃতি ক্ষেত্রে আদান-প্রদান ও যোগাযোগ সুদৃঢ় ও সহজলভ্য করার মাধ্যমে একে অপরের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করুক।

জিয়াউর রহমানের উদ্যোগে অনুপ্রানিত হয়ে দক্ষিণ এশিয়ার ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ এর বিদেশমন্ত্রী পরবর্তী কয়েক বছরে কলম্বো, কাঠমান্ডু, ইসলামাবাদ, ঢাকা প্রভৃতি স্থানে একাধিক বার মিলিত হন। অবশেষে এই সব দেশের প্রধানমন্ত্রীরা ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে দিল্লি সম্মেলনে সমবেত হয়ে South Asian Association for Regional Co-operation বা সার্ক গঠনের সিদ্ধান্ত নেন।

অবশেষে ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দের ৭-৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের উদ্যোগে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এই সাতটি দেশের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে এক শীর্ষ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে সার্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দের ১২ আগস্ট ঢাকায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হোসেন মোহাম্মদ এরশাদ প্রথম সার্ক সম্মেলনের উদ্বোধন করেছিলেন এবং তিনি ছিলেন সার্কের প্রথম সভাপতি। সার্কের প্রথম মহাসচিব ছিলেন বাংলাদেশের কূটনীতিবিদ আবুল আহসান। নেপালের রাজা বীর বিক্রম শাহ ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দের ১৬ জানুয়ারি কাঠমান্ডুতে সার্কের স্থায়ী সচিবালয় স্থাপন করেছিলেন।

সার্কের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য :

(ক) উন্নয়ন সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, সামাজিক অগ্রগতি এবং সামাজিক উন্নয়ন ঘটানো ছিল সার্ক এর উদ্দেশ্য। (খ) জনকল্যাণ : দক্ষিণ এশিয়ার জনগনের সার্বিক কল্যাণ সাধন এবং তাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ঘটনো ছিল এই সংস্থার অন্যতম

উদ্দেশ্য।

(গ) বোঝাপড়া : সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস, বোঝাপড়া ও সংবেদনশীলতার পরিবেশ তৈরি করা সার্কের লক্ষ্য।

(ঘ) আত্মনির্ভরতা : সার্কের প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে স্বাধীনতা রক্ষা এবং যৌথ আত্মনির্ভরতা গড়ে তোলা সার্ক এর অন্যতম উদ্দেশ্য। (ঙ) অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা: সার্কের সদস্য রাষ্ট্রগুলির ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষার এবং কোনো রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার লক্ষ্যে সার্ক সদা ব্যস্ত।

(চ) নিরাপত্তা : দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও সন্ত্রাসবাদকে প্রতিরোধ করা অন্যতম উদ্দেশ্য।

(ছ) আর্থসামাজিক আদান-প্রদান : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও কারিগরি ক্ষেত্রে পারস্পরিক আদান-প্রদান ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করা সার্কের

(জ) সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান : সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান ও পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অগ্রগতি ঘটানো সার্ক এর উদ্দেশ্য।

(ঝ) শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখা সার্কের লক্ষ্য।তিনি চেয়েছিলেন দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ গুলির মধ্যে অর্থনীতি, প্রযুক্তি, বিজ্ঞান, শিক্ষা-সংস্কৃতি প্রভৃতি ক্ষেত্রে আদান-প্রদান ও যোগাযোগ সুদৃঢ় ও সহজলভ্য করার মাধ্যমে একে অপরের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করুক।

জিয়াউর রহমানের উদ্যোগে অনুপ্রানিত হয়ে দক্ষিণ এশিয়ার ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ এর বিদেশমন্ত্রী পরবর্তী কয়েক বছরে কলম্বো, কাঠমান্ডু, ইসলামাবাদ, ঢাকা প্রভৃতি স্থানে একাধিক বার মিলিত হন। অবশেষে এই সব দেশের প্রধানমন্ত্রীরা ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে দিল্লি সম্মেলনে সমবেত হয়ে South Asian Association for Regional Co-operation বা সার্ক গঠনের সিদ্ধান্ত নেন।

অবশেষে ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দের ৭-৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের উদ্যোগে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এই সাতটি দেশের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে এক শীর্ষ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে সার্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দের ১২ আগস্ট ঢাকায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হোসেন মোহাম্মদ এরশাদ প্রথম সার্ক সম্মেলনের উদ্বোধন করেছিলেন এবং তিনি ছিলেন সার্কের প্রথম সভাপতি। সার্কের প্রথম মহাসচিব ছিলেন বাংলাদেশের কূটনীতিবিদ আবুল আহসান। নেপালের রাজা বীর বিক্রম শাহ ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দের ১৬ জানুয়ারি কাঠমান্ডুতে সার্কের স্থায়ী সচিবালয় স্থাপন করেছিলেন।

সার্কের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য :

(ক) উন্নয়ন সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, সামাজিক অগ্রগতি এবং সামাজিক উন্নয়ন ঘটানো ছিল সার্ক এর উদ্দেশ্য। (খ) জনকল্যাণ : দক্ষিণ এশিয়ার জনগনের সার্বিক কল্যাণ সাধন এবং তাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ঘটনো ছিল এই সংস্থার অন্যতম

উদ্দেশ্য।

(গ) বোঝাপড়া : সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস, বোঝাপড়া ও সংবেদনশীলতার পরিবেশ তৈরি করা সার্কের লক্ষ্য।

(ঘ) আত্মনির্ভরতা : সার্কের প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে স্বাধীনতা রক্ষা এবং যৌথ আত্মনির্ভরতা গড়ে তোলা সার্ক এর অন্যতম উদ্দেশ্য। (ঙ) অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা: সার্কের সদস্য রাষ্ট্রগুলির ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষার এবং কোনো রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার লক্ষ্যে সার্ক সদা ব্যস্ত।

(চ) নিরাপত্তা : দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও সন্ত্রাসবাদকে প্রতিরোধ করা অন্যতম উদ্দেশ্য।

(ছ) আর্থসামাজিক আদান-প্রদান : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও কারিগরি ক্ষেত্রে পারস্পরিক আদান-প্রদান ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করা সার্কের

(জ) সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান : সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান ও পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অগ্রগতি ঘটানো সার্ক এর উদ্দেশ্য।

(ঝ) শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখা সার্কের লক্ষ্য।তিনি চেয়েছিলেন দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ গুলির মধ্যে অর্থনীতি, প্রযুক্তি, বিজ্ঞান, শিক্ষা-সংস্কৃতি প্রভৃতি ক্ষেত্রে আদান-প্রদান ও যোগাযোগ সুদৃঢ় ও সহজলভ্য করার মাধ্যমে একে অপরের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করুক।

জিয়াউর রহমানের উদ্যোগে অনুপ্রানিত হয়ে দক্ষিণ এশিয়ার ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ এর বিদেশমন্ত্রী পরবর্তী কয়েক বছরে কলম্বো, কাঠমান্ডু, ইসলামাবাদ, ঢাকা প্রভৃতি স্থানে একাধিক বার মিলিত হন। অবশেষে এই সব দেশের প্রধানমন্ত্রীরা ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে দিল্লি সম্মেলনে সমবেত হয়ে South Asian Association for Regional Co-operation বা সার্ক গঠনের সিদ্ধান্ত নেন।

অবশেষে ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দের ৭-৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের উদ্যোগে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এই সাতটি দেশের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে এক শীর্ষ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে সার্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দের ১২ আগস্ট ঢাকায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হোসেন মোহাম্মদ এরশাদ প্রথম সার্ক সম্মেলনের উদ্বোধন করেছিলেন এবং তিনি ছিলেন সার্কের প্রথম সভাপতি। সার্কের প্রথম মহাসচিব ছিলেন বাংলাদেশের কূটনীতিবিদ আবুল আহসান। নেপালের রাজা বীর বিক্রম শাহ ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দের ১৬ জানুয়ারি কাঠমান্ডুতে সার্কের স্থায়ী সচিবালয় স্থাপন করেছিলেন।

সার্কের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য :

(ক) উন্নয়ন সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, সামাজিক অগ্রগতি এবং সামাজিক উন্নয়ন ঘটানো ছিল সার্ক এর উদ্দেশ্য। (খ) জনকল্যাণ : দক্ষিণ এশিয়ার জনগনের সার্বিক কল্যাণ সাধন এবং তাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ঘটনো ছিল এই সংস্থার অন্যতম

উদ্দেশ্য।

(গ) বোঝাপড়া : সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস, বোঝাপড়া ও সংবেদনশীলতার পরিবেশ তৈরি করা সার্কের লক্ষ্য।

(ঘ) আত্মনির্ভরতা : সার্কের প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে স্বাধীনতা রক্ষা এবং যৌথ আত্মনির্ভরতা গড়ে তোলা সার্ক এর অন্যতম উদ্দেশ্য। (ঙ) অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা: সার্কের সদস্য রাষ্ট্রগুলির ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষার এবং কোনো রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার লক্ষ্যে সার্ক সদা ব্যস্ত।

(চ) নিরাপত্তা : দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও সন্ত্রাসবাদকে প্রতিরোধ করা অন্যতম উদ্দেশ্য।

(ছ) আর্থসামাজিক আদান-প্রদান : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও কারিগরি ক্ষেত্রে পারস্পরিক আদান-প্রদান ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করা সার্কের

(জ) সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান : সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান ও পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অগ্রগতি ঘটানো সার্ক এর উদ্দেশ্য।

(ঝ) শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখা সার্কের লক্ষ্য।







0 Response to "দ্বাদশ শ্রেণীর (উচ্চমাধ্যমিক)ইতিহাসের ছোটো ও বড়ো প্রশ্নের উত্তর সহ সাজেশান"

Post a Comment

Thank you

Iklan Atas Artikel

Iklan Tengah Artikel 1

Iklan Tengah Artikel 2

Iklan Bawah Artikel