খুষ্টিগিরি গ্রাম দর্শন । খুষ্টিগীরি গ্রামে হযরত সৈয়দ শাহ আব্দুল্লাহ কেরমানির মজার শরীফ ।KHUSTIGIRI DARGAH SHARIF


খুষ্টিগিরি গ্রাম দর্শন । খুষ্টিগীরি গ্রামে হযরত সৈয়দ শাহ আব্দুল্লাহ কেরমানির মজার শরীফ ।KHUSTIGIRI DARGAH SHARIF


নিজস্ব সংবাদদাতা, পৃথিবীতে নানা রকম জায়গা রয়েছে যে জায়গা প্রায় অনেকেরই  অজানা থাকে। তাই আজকে আমরা এমন একটি দর্শনীয় স্থান নিয়ে কথা বলবো । যার মহত্ত্ব অনেকগুণ বেশী কিন্তু সে জায়গা কোথায় সে নাজানাই অনেক মানুষ এসব দর্শনীয় স্থান গুলিকে জানার সুযোগ বা দেখার সুযোগ পায় না ।

আজ আমরা খুষ্টিগিরি গ্রামে হাজির হয়েছি । হ্যাঁ আপনারা কি কি শুনেছেন আমরা আজ খুষ্টিগিরি দরগাহ তে হাজির হয়েছি। আর এই খুষ্টিগিরি গ্রামে অনেক কিছু দেখার মত দর্শনীয় জায়গা (KHUSTIGIRI DARGAH SHARIF)রয়েছে। লোক সূত্রে জানা যায় খুষ্টিগিরি গ্রামে  অতীতের মহত্ব খুব বেশি। মানে খুষ্টিগিরি গ্রামে অতীতে এমন কিছু ঘটেছে 

যে বিষয়গুলি খুবই আশ্চর্য জনক। তাই খুষ্টিগিরি গ্রামের মহত্ব জানতে পোষ্টটি পুরোটা পড়ুন।

খুষ্টিগিরি গ্রামের দর্শনীয় স্থান

KHUSTIGIRI DARGAH SHARIF


লোক সূত্রে জানা যায়, খুষ্টিগিরি গ্রামে রয়েছে নানা রকম অতীতের কিছু স্মৃতি যায় এখন দর্শনীয় স্থান নামে পরিচিত হয়েছে।

দর্শনীয় স্থানগুলি হলো 

1.গঙ্গা গড়ে
2.তেতুল গাছ
3.মজার শরীফ 
4.মসজিদ
5. মাদ্রাসা নুসরাতুল গড়াবা
6. বিশাল ও সুউচ্চ গেট বা দরজা
7.বাগান বাড়ি 
8. ফাল্গুন মাসের মেলা
9. বিভিন্ন ওলীদের কবর 

এছাড়া তার আসে পাশে রয়েছে খুষ্টিগিরি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও খুষ্টিগিরি দরগাহ্ শরীফ হাই মাদ্রাসা মানে এই সব দর্শনীয় জায়গা গুলো নিয়ে খুষ্টিগিরি  গ্রাম একটা নতুন  রূপ ধারণ করেছে ।
আজ আমাদের টীম এই খুষ্টিগিরি গ্রাম(KHUSTIGIRI)ঘুরে যে তথ্য বার করেছে সব কিছুই বলবো । আর এই খুষ্টিগিরি গ্রামের  দর্শনীয় স্থান  নিয়ে একটু বলি 

1.গঙ্গা গড়ে


খুষ্টিগিরি /খুষ্টিগীরি(KHUSTIGIRI) গ্রামে একটা দর্শনীয় স্থানের মধ্যে পড়ছে গঙ্গা গড়ে পুকুর ।এই গঙ্গা গড়ে শুধু পুকুর নয় এই পুকুর টা অতীতের একটা আশ্চর্য জনক পুকুর ।যা এখনও মানুষ কে আশ্চর্য করে তুলে ।লোকসূত্রে, জানাযায় এই গঙ্গা  গড়ে পুকুর গঙ্গা নদীর সাথে সংযুক্ত রয়েছে এছাড়া আরো জানা গিয়েছে যে এই গঙ্গা গড়ে পুকুর এর জল কোনোদিন শেষ হয় না । আর এই পুকুর টি হযরত সৈয়দ শাহ আব্দুল্লাহ কেরমানি খনন করেন ।
এছাড়া আরোও সোনা যায় যে এই জল খেলে পেট ব্যাথা দুর হয় ।





2.তেতুল গাছ

এই  খুষ্টিগীরি গ্রামের(KHUSTIGIRI) মানুষদের কাছ থেকে  জানা যায় এই তেতুল গাছ প্রায় ছয়শো বছর পুরনো তেতুল গাছ ।
এই তেতুল গাছ কেনো দর্শনীয় সেটা আগে বলে রাখি ।
হযরত সৈয়দ শাহ আব্দুল্লাহ কেরমানি (কেরমানী বাবা) যখন এই খুষ্টিগীরি গ্রামে আসার আগে এক অলি তাকে  একটা দাঁতন দেন ।এবং সেই দাঁতন হযরত সৈয়দ শাহ আব্দুল্লাহ কেরমানি নিয়ে আসেন খুষ্টিগীরি(KHUSTIGIRI) গ্রামে ।হযরত সৈয়দ শাহ আব্দুল্লাহ কেরমানি দাঁতন করে সেই দাঁতন মাটিতে  পুঁতে দেই এবং কিছু দিন পরে সেই দাতন থেকে একটা তেতুল গাছের জন্ম হয় ।

PHOTO :-



3.হযরত সৈয়দ শাহ আব্দুল্লাহ কেরমানির মজার শরীফ

KHUSTIGIRI MAJAR SHARIF


এই খুষ্টিগীরি(KHUSTIGIRI) গ্রামটা যার জন্য দর্শনীয় হয়েছে সেটা হচ্ছেন হযরত সৈয়দ শাহ আব্দুল্লাহ কেরমানি । তিনিই এই খুষ্টিগীরি(KHUSTIGIRI)গ্রামে এসে গ্রামটাকে দর্শনীয় জায়গা বানিয়েছে ।আর সেই জন্যই খুষ্টিগীরি গ্রামে(KHUSTIGIRI) রয়েছে হযরত সৈয়দ শাহ আব্দুল্লাহ কেরমানির মজার শরীফ (কেরমাণী বাবার মজার শরীফ) ।আর এই খুষ্টিগীরি গ্রামে দিনে হাজারো মানুষ হযরত সৈয়দ শাহ আব্দুল্লাহ কেরমানির মজার শরীফ দর্শন করতে আসে।

PHOTO:-





3.বিভিন্ন ওলীদের কবর

খুষ্টিগীরি(KHUSTIGIRI) গ্রামে হযরত সৈয়দ শাহ আব্দুল্লাহ কেরমানির মজার শরীফ আছে শুধু তাই নয় আরো বিভিন্ন ওলির মাজারও রয়েছে । তার বংশ ধরেরও মজার রয়েছে এইখানে ।এছাড়া দাড়িয়ে জিন্দা কবর নেয়া। সাতটি চোরের কবর ।আরো নানা কবর রয়েছে এইখানে এছাড়া এমন একটি খেজুর গাছ রয়েছে যে খেজুর গেছে কখনো খেজুর ধরেনা ।সবাই বলে ওই টা আশ্চর্যতম একটা উদাহরণ।


4.খুষ্টিগীরি মসজিদ

খুষ্টিগীরি(KHUSTIGIRI) গ্রামের মসজিদ ও একটা দর্শনীয় স্থান ।কারণ এই মসজিদ টা এতো সুন্দর বানানো হয়েছে তোমরা না দেখলে বিশ্বাস করতে পারবে না ।তাই কিছু ফটো তুলে রেখেছি তোমাদের জন্য ।আমি শুধু বাইরের ফটো গুলোই তুলতে পেরেছি । আরোও একটা কথা এই মসজিদের জন্য সাহায্য করেছেন বিভিন্ন গ্রামের মানুষ এছাড়া এই মসজিদ টা বানাতে খুষ্টিগীরি গ্রামের বড়ো হযুর হযরত সৈয়দ শাহ বজলে রহমান কেরমনি (মৃত) ও গ্রামের মানুষ জন ।বজলে রহমান কেরমানি (মৃত) কয়েক মাস আগেই এই দুনিয়া ছেড়ে চলে যায় ।কিন্তু গ্রামের অনেক সাহায্য করে গিয়েছেন এই হযরত বজলে রহমান কেরমানি । তারও কথা আজ আমি বলবো।

PHOTO:-




5. খুষ্টিগীরি মাদ্রাসা নুসরাতুল গড়াবা

Khustigiri Nusratul Gorba


এই মাদ্রাসা খুষ্টিগীরি(KHUSTIGIRI) গ্রামে প্রতিষ্ঠত হয়েছে 2021 সালে মানে কিছু মাসে আগেই এই মাদ্রাসা তৈরি হয়েছে ।তাই এখানে এখনও কোনো ছাত্র ও শিক্ষক নেই মানে এখনও এই মাদ্রাসা নুসরাতুল গড়াবা চালু হয়নি ।এই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন হজরত সৈয়দ শাহ বজলে রহমান কেরমানি।কিন্তু তিনি আর এখন আমাদের মধ্যে নেই ।তিনি এই দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন ।কিন্তু তিনি সবসময় মানুষের পাশে ছিলেন ।সকল মানুষের সাহায্য তিনি করেছেন । এছাড়া খুষ্টিগীরি গ্রামের উন্নতির পিছনে সৈয়দ শাহ বজলে রহমান কেরমানি কর্তৃত্ব অনস্বীকার্য।

PHOTO:-




6.বাগান বাড়ি 

এইবার আমরা জানবো খুষ্টিগীরি(KHUSTIGIRI) গ্রামের বাগান বাড়ি 
এই খুষ্টিগীরি(KHUSTIGIRI)গ্রামে রয়েছে একটা বাগান বাড়ী ।কিন্তু সেটা গ্রামে নয় ঠিক ।সেটা আছে বড়ো হযুরের বাড়ির জায়গায় ।মানে তাদের পারিবারিক যেখানে বাস সেখানে ।সেখানে নানা রকম গাছ রয়েছে ।এবং বাগান টা খুবই একটা সুন্দর জায়গা ।আর এই বাগান নিয়ে খুষ্টিগীরি গ্রাম একটা রোমাঞ্চকর রূপ নিয়েছে ।আমি তাও সেরকম এই খুষ্টিগীরি গ্রামের সৌন্দর্য ব্যাখ্যা করতে পারছিনা ।তারজন্য এই গ্রামের জন্য বই ও রয়েছে ।আপনারা চাইলে বই গুলি কিনতে পারেন ।


7.ফাল্গুন মাসের মেলা


খুষ্টিগীরি গ্রামে(KHUSTIGIRI) একটা মেলা হয় ।সেটা হয় ফাল্গুন মাসে ।
এই মেলায় হযরত সৈয়দ শাহ আব্দুল্লাহ কেরমানির অনেক মুরিদ আসে । প্রায় লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ এই খুষ্টিগীরি গ্রামের(KHUSTIGIRI) মেলায় আসে ।এই খুষ্টিগীরি গ্রামের মেলা অনুষ্ঠিত হয় ফাল্গুনের ১১ তারিখ থেকে আর শেষ হয় ফাল্গুনের ১৬ তারিখে ।আর এই মেলায় এই পাঁচদিন ব্যাপী জলসা, কাওয়ালি, ও ফকিরি গান হয় ।আর তার মুরিদ এই মেলার মাধ্যমে খুষ্টিগীরি গ্রামে(KHUSTIGIRI) হযরত সৈয়দ শাহ আব্দুল্লাহ কেরমানির মজার জিয়ারত করে ।

  

8.বিশাল ও সুউচ্চ গেট বা দরজা

খুষ্টিগীরি গ্রামে নির্মিত হচ্ছে বিশাল ও সুউচ্চ দরজা ।আর এর দরজার নির্মাতা হচ্ছে সরকার ।আর তার সাথে সাথে মাজার ও মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় বসছে মোজাক বা টায়িস ।এছাড়া খুষ্টিগীরি (KHUSTIGIRI) গ্রামের বিভিন্ন অনুষ্ঠান এর জন্য বানানো হয়েছে একটা বিশাল স্টেজ ।সেগুলো এখনও পুরো পুরি কাজ হয়নি  ।এখন কাজ চলছে আসতে আস্তে হবে কারণ এই কাজ সরকার দ্বারা ।এই বিশাল ও সুউচ্চ গেট বা দরজা খুবই সুন্দর হবে বলে জানা গিয়েছে ।এছাড়া এই বিশাল প্রকার দরজা নাকি বীরভূমের মধ্যে সবথেকে উচু ও বিশাল আকারের দরজা ।বীরভূমের উচু ও বিশাল আকারের দরজা হচ্ছে খুষ্টিগীরি(KHUSTIGIRI)গ্রামের দরজা বা ফটক ।

PHOTO:-




খুষ্টিগীরি গ্রামে অতীতে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা

লোকসুত্রে জানা যায় খুষ্টিগীরি গ্রামে হযরত সৈয়দ শাহ আব্দুল্লাহ কেরমানি আসার পর নানা ধরনের আশ্চর্য জনক ঘটনা ঘটে ।কারণ আব্দুল্লাহ অলি কেরমানি  একজন আল্লাহ্ পাকের ওলি ছিলেন । খুষ্টিগীরি গ্রমের লোকের কাছে কিছু ও শুনলাম সেগুলো হচ্ছে ।হযরত সৈয়দ শাহ আব্দুল্লাহ কেরমানির (কেরমানী বাবা) একটা ছাগল ছিলো যার নাম ছিল দুলাল ।কেরমানি বাবা তার সেই দুলাল কে খুবই ভালোবাসত কিন্তু একদিন চোদ্দটি চোর নাকি হযরত সৈয়দ শাহ আব্দুল্লাহ কেরমানির সেই প্রিয় ছাগলটাকে  বা দুলাল কে চুরি করে এবং রান্না করে খেয়ে নেই। কিন্তু তারপর যখন সেই দুলাল বা ছাগল এর খোঁজ হয় কিন্তু তাকে আর পাওয়া যায় না ।তখন সেই চোরদের সামনে কেরমানি বাবা একবার দুলাল বলে ডাক দেই সঙ্গে সঙ্গে সেই ছাগল বা দুলাল সেই চোরদের পেট থেকে তার উত্তর দেই এবং কিছুক্ষন পর সেই চোর গুলো মারা যায় ।যাদের কবর এখনও রয়েছে খুষ্টিগীরি গ্রামে ।

আর সেই তেতুল গাছ যার কথা আমি আগেই বলেছি একটা দাতন এর মাধ্যমে কিভাবে হলো এই বিশাল গাছ ।এই থেকে বোঝা যায় আল্লাহ সর্বশক্তিমান ।
তারপর সেই পুকুর যে পুকুর নাকি গঙ্গার সাথে যুক্ত আছে এইসব কিছু হযরত সৈয়দ শাহ আব্দুল্লাহ কেরমানি আসার পর থেকে হয় ।তিনি এই গ্রামের জন্য ও গ্রামের মানুষ জন্য অনেক কিছু করে গিয়েছেন ।


খুষ্টিগীরি গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় কিছু ফটো








 
আমাদের ব্লগে আরোও নানা ধরনের খবর পেতে আমাদের ব্লগটিকে follow করুন। এছাড়া আমাদের পেজ রয়েছে bangla news সেটা follow করতে ভুলবেন না ।










1 Response to "খুষ্টিগিরি গ্রাম দর্শন । খুষ্টিগীরি গ্রামে হযরত সৈয়দ শাহ আব্দুল্লাহ কেরমানির মজার শরীফ ।KHUSTIGIRI DARGAH SHARIF"

Thank you

Iklan Atas Artikel

Iklan Tengah Artikel 1

Iklan Tengah Artikel 2

Iklan Bawah Artikel