বায়ুদূষণের কারণ ও তার প্রতিরোধের উপায়



বায়ুদূষণের কারণ ও তার প্রতিরোধের উপায়

TABLE:-

1.বায়ু দূষণ কাকে বলে

2.বায়ু দূষক এর উদাহরণ

3.বায়ুদূষক কয় প্রকার ও কি কি

4.প্রাথমিক বায়ু দূষক কাকে বলে

5.গৌণ বায়ুদূষক কাকে বলে

6.বায়ু দূষণের কারণ লেখ

7.বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের উপায় গুলি লিখ


বায়ুদূষণের কারণ ও তার প্রতিকারের উপায় গুলি কি কি

বায়ুদূষণের কারণ ও তার প্রতিকার

বায়ুদূষণ কাকে বলে:-

আমরা আজ জানবো বায়ুদূষণ কাকে বলে।আজ আমরা জানবো বায়ুদূষণ কাকে বলে সেটাও দুই প্রকার নিয়মে
উত্তর:-বিশ্ব সংস্থার মতে- আমাদের চারপাশে যে বায়ু আছে তাতে কিছু কিছু বস্তু যথেষ্ট পরিমান মত নিঃসৃত হয় মানুষ ও তার পরিবেশ ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় একেই বলে বায়ুদূষণ।

উত্তর:-মানুষের পাঁচটি বায়ুমন্ডলে অবাঞ্ছিত ও দূষিত পদার্থের উপস্থিতি বিপদজনক মাত্রা অতিক্রম করলে জীবজগতে পক্ষে ক্ষতি হয় তাকে বায়ুদূষণ বলে।

বায়ু দূষক এর উদাহরণ:-

বিষাক্ত ধোঁয়া, ধূলিকণা, গ্যাস, কুয়াশা, কাকর, ইত্যাদি।

বায়ুদূষক কয় প্রকার ও কি কি?

বায়ুদূষক হচ্ছে দুই প্রকার ১. প্রাথমিক বায়ুদূষক ২. গৌণ বায়ুদূষক


প্রাথমিক বায়ু দূষক কাকে বলে?

উত্তর:-প্রাকৃতিক ও মানুষের মানুষের দ্বারা সৃষ্ট উৎস থেকে উৎপন্ন হয় তারা সরাসরি বায়ুতে মিশে যায় এবং বায়ু দূষণ করে প্রাথমিক বায়ু দূষক বলে।

উদাহরণ:- নাইট্রোজেন অক্সাইড ,সালফার ডাই অক্সাইড

গৌণ বায়ুদূষক কাকে বলে?

উত্তর:-সূর্যের উপস্থিতিতে বা অনুপস্থিতিতে প্রাথমিক বায়ু দূষক বিক্রিয়া ঘটিয়ে যে দূষণ উৎপন্ন করে তাকে গৌণ বায়ু দূষক বলে।

গৌণ বায়ুদূষক এর উদাহরণ গুলি হলো
উদাহরণ:-সালফিউরিক অ্যাসিড, অম্ল বৃষ্টি, ধোঁয়াশা


বায়ুদূষণের কারণ গুলি কি কি

বায়ুদূষণ সাধারণত দুইটি কারণে হয় আমি আজ আলোচনা করব। ১.প্রাকৃতিক কারণ ২. মনুষ্য সৃষ্ট কারণ।এই দুটি কারণে সাধারনত এই পৃথিবীতে বায়ু দূষণ সৃষ্টি হয় ।

বায়ুদূষণের প্রাকৃতিক কারণ

প্রাকৃতিক উৎস থেকে নির্গত পদার্থ যখন বায়ু দূষণ করে একে বায়ুদূষণের প্রাকৃতিক কারণ বলে ।

বায়ুদূষণের প্রাকৃতিক কারণ কোনগুলি তাহলে আমরা এবার জেনে নিন।

বায়ুদূষণের প্রথম আমি যেই কারণ টা বলবো সেটা হচ্ছে দাবানল

বায়ুদূষণে দাবানল

বজ্রপাত ,লাভা প্রবাহের সময় গাছে গাছে ঘষা লেগে যে বনভূমিতে আগুন লাগে তার ফলে দাবানলের সৃষ্টি হয়। আরে দাবানলের ফলে বনের গাছ পুড়ে যায় । তার ফলে যে ধোঁয়া সৃষ্টি হয় তার জন্যই বায়ুদূষণ ঘটে

বায়ুদূষণে অগ্নুৎপাত

অগ্ন্যুৎপাতের সময় আগ্নেয়গিরি থেকে প্রচুর পরিমাণে কার্বন মনো অক্সাইড, সালফার ডাই-অক্সাইড নির্গত হয়ে বায়ুকে প্রচুর পরিমাণে দূষিত করে তার ফলে বায়ু দূষণ ঘটে। অগ্ন্যুৎপাতের সময় মোট সালফারের প্রায় 70% বাতাসে মিশে যায়। তার ফলে পরিবেসে প্রচুর পরিমাণ বায়ুদূষণ ঘটে

বায়ুদূষণে ধূলিঝড়

মরুভূমি অঞ্চলে দিনের বেলায় প্রচন্ড গরম হওয়ার জন্য একরকম ঝড় সৃষ্টি হয় এবং সেই ঝড় কে বলা হয় ধূলিঝড়। এই ধুলি ঝড়ের কারণে বাতাসের ভারসাম্য কে নষ্ট করে দেয় তার ফলে পরিবেশের দূষণ ঘটে। আর বায়ুদূষণের পরিমাণ বেড়ে যায় 

বায়ুদূষণে পচন

এই পৃথিবীতে কত রকমের জীবজন্তু মানুষ বসবাস করে এ পৃথিবীতে যারা এসেছে তাদেরকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হয়। জীবের একসাথে মৃত্যুর ফলে তাদের কোন একটা জায়গায় ফেলে দেওয়া হয় এবং তাদের দেহ পচে তাদের দেহ থেকে দুর্গন্ধ বের হয় এবং তার ফলে পরিবেশ দূষণ হয় । ও বায়ুদূষণ বারে

বায়ুদূষণে মহাজাগতিক বস্তু

মহাকাশ থেকে  উল্কাপিণ্ড যখন মাটিতে এসে পড়ে না পৃথিবীতে তখন তার ফলে নানারকম গ্যাস বাতাসের সাথে মিশে যায় ফলে পরিবেশ ও বায়ুদূষণ দূষণ হয়।



বায়ুদূষণে মনুষ্যসৃষ্ট কারণ 

বায়ুদূষণে যানবাহন 

বায়ুদূষণের একটা অন্যতম কারণ হচ্ছে যানবাহন। পৃথিবীতে যানবাহনের পরিমাণ এতই বেড়ে গেছে সীমানার বাইরে। আরে যানবাহনে চলে বিভিন্ন ধরনের খনিজ তেল থেকে। ও তার ফলে যে বায়ু নির্গত হয় এবং সে বাইরে থাকে নানা রকম দূষিত গ্যাস তারফলে বায়ু দূষণ ঘটে ও তার সাথে পরিবেশ দূষণ ও ঘটে 

বায়ুদূষণে কলকারখানা

মানুষ নানা বড় বড় কাজে বিভিন্ন ধরনের ফ্যাক্টরির কাজে বড় বড় কল কারখানা তৈরি করে নিচ্ছে এবং তার ফলে অনেক বায়ু নির্গত হচ্ছে বাড়িতে অনেক রকম গ্যাস থাকার ফলে এ কল কারখানা থেকে প্রচুর বায়ুদূষণ হচ্ছে ।

বায়ুদূষণে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র

তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে প্রায় 70% বায়ু দূষণ হয়। নানারকম পদার্থ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়া হয় তাহলে নানারকম গ্যাস এখান থেকে নির্গত হয় ধোয়ার সাথে এবং সেই ধোয়াতে থাকে বেশি পরিমাণ কার্বন মনোক্সাইড যা বায়ুদূষণের প্রভাব ফেলে ।

বায়ুদূষণে বনভূমি ধ্বংস

বনভূমি ধ্বংসের ফলে বা গাছ কাটার ফলে বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায় তার ফলে পরিবেশ দূষণ বাড়তে থাকে ও বায়ুদূষণ বাড়তে থাকে

আরোও পড়ুন""-দ্বাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান অধ্যায়ভিত্তিক সাজেশন 2022

বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের উপায় 

বায়ুদূষণ রোধে বনসৃজন:-

মানুষের প্রচুর পরিমাণে গাছ কাটার ফলে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং তার ফলে বায়ু দূষণ ঘটে। এবং সেই বায়ুদূষণ কে রোধ করতে হলে আমাদেরকে প্রচুর পরিমাণ গাছ লাগাতে একটা গাছ কাটলে তার পরিবর্তে ৭ টা গাছ লাগাতে হবে তাহলে আমাদের পরিবেশ দূষণের হার আস্তে আস্তে কমবে তাই আমাদের গাছ লাগানো অবশ্য পালনীয় কর্তব্য। তাহলে আমাদের পরিবেশে বায়ুদূষণের হার কমবে


বায়ুদূষণ রোধে বিশুদ্ধ জ্বালানির ব্যবহার

জীবাশ্ম জ্বালানির পোড়ানোর ফলে পরিবেশ বিশাল প্রকার বায়ু প্রচুর পরিমাণে ছিল তর জন্য আমাদেরকে
 বিশুদ্ধ জ্বালানির ব্যবহার করতে হবে। যেমন সৌরশক্তি জোয়ার ভাটা শক্তি ইত্যাদি মাধ্যমে ইত্যাদি  জ্বালানি আমাদেরকে ব্যবহার করতে হবে। তাহলে বায়ুদূষণ কমবে

বায়ুদূষণ রোধে অপ্রচলিত শক্তির ব্যবহার

 

বায়ুদূষণ রোধে জনসচেতনতা

গ্রামের বা শহরের বশেষ করে গ্রামের
 শিক্ষিত ছাত্র-ছাত্রীগণ শিক্ষিত লোকদের একটা দল গঠন করতে হবে এবং যারা বায়ু দূষণ সম্পর্কে জানেনা তাদেরকে ভালো করে বুঝিয়ে বায়ু দূষণ সম্পর্কে জানিয়ে মেনশন করতে বলা এবং তাদের সেই সম্বন্ধে জ্ঞান দিলে তাহলে জনসচেতনতা বৃদ্ধি পাবে ও বায়ুদূষণ কম হবে।


 বায়ুদূষণ রোধে আইন প্রণয়ন

কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রন পর্ষদ দ্বারা ১৯৮১ সালে বায়ুদূষণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রন আইন প্রয়োগ করে দূষণ কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করলে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব।




আরও নতুন নতুন question পেতে আমাদের ব্লগে কমেন্ট বক্স এ জানিয়ে দিন যাতে আমরা আরো নতুন নতুন question তোমাদের জন্য দিতে পারি । আজ এই পর্যন্তই দেখা হবে আবার নতুন question এর সাথে ।ভালো থাকবে ভালো করে পড়াশোনা করবে ।








0 Response to "বায়ুদূষণের কারণ ও তার প্রতিরোধের উপায়"

Post a Comment

Thank you

Iklan Atas Artikel

Iklan Tengah Artikel 1

Iklan Tengah Artikel 2

Iklan Bawah Artikel